গরু পাচার মামলায় প্রথম জামিন। অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে (manish kothari) জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ৬ মাসেরও বেশি সময় পর জামিন পেলেন মণীশ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, মণীশ কোঠারির (Manish Kothari) বিরুদ্ধে বিশেষ কোনও প্রমাণ না মেলায় তাঁকে জামিন দিতে বাধ্য হল আদালত।
গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৪ মার্চ মণীশ সহ ১২ জনকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। সদর দফতরে দিনভর জেরার পর মণীশকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইডি হেফাজত শেষে তিহাড় জেলেই ঠাঁই হয়েছিল কেষ্ট মণ্ডলের হিসেবরক্ষকের।ইডি জানিয়ে ছিল, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল মণীশের। তার নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলেছে বলেও আদালতে জানিয়েছিল ইডি।
আগেও জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন মণীশ (manish kothari)। কিন্তু প্রতিবারই সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার ফের দিল্লি হাইকোর্টে মণীশের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। শুনানি শেষে বিচারপতি মণীশের আবেদন মঞ্জুর করেন। ৫ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে মণীশের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি। জামিনের শর্ত হিসেবে মণীশকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে এবং তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে। এই মামলার শুনানি শেষ করে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক।
আরও পড়ুন: Durgapur Steel Plant : উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে দুর্গাপুরে ধুন্ধুমার, CISF-র বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ
মণীশের জামিনে খুশি স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল। নিজের জামিনের খবর পেয়েই একই জেলে বন্দী অনুব্রতকে জানান মনীশ। খুশি হয়ে অনুব্রত বলেছেন, ‘যাক, জামিন নাকোচের চেনটা ভাঙল তাহলে !’ অনুব্রতর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল জানিয়েছেন, মণীশের জামিনে খুশি অনুব্রত।
অন্যদিকে, এদিনও অনুব্রতকন্যা সুকন্যার জামিন মেলেনি। পুজোর সময়টাও সম্ভবত তিহাড় জেলে কাটবে সুকন্যার।গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। বুধবার দিল্লির আদালত অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ ফের বাড়িয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মণীশের জামিন পরবর্তীতে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের জামিনের মামলায় বড় ভূমিকা নিতে পারে। তাঁদের পক্ষের আইনজীবীরা, এই গ্রাউন্ডে সওয়াল করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Tornado in West Bengal : মাত্র ১০ সেকেন্ডে লন্ডভন্ড হাবড়া! আতঙ্কে বাসিন্দারা