ইলিশ ভাপা, ইলিশ সরষে, ইলিশ ভাজা, অথবা গরম ভাতে ইলিশের তেল। ইলিশ নিয়ে বাঙালির আবেগ হার মানায় অনেক কিছুকেই। সেই ইলিশ এবার পড়তে চলেছে বাঙালির পাতে।
বুধবার সকালেই কেবল সরকার অনুমোদিত ১৮০০ ট্রলার ও ভুটভুটি ইলিশের খোঁজে দিঘা সমুদ্রে (Digha Sea) পাড়ি দিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, রায়গঞ্জ, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরদ্বীপ থেকেও কয়েক হাজার ট্রলার ইলিশের খোঁজে পাড়ি দিয়েছে সমুদ্রে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: বাদানুবাদের পর ছাড় পেলেন শুভেন্দু, কোলাঘাট হয়ে কলকাতা আসার অনুমতি পুলিশের
মরশুমের প্রথম ইলিশ ঢুকেছে ডায়মন্ড হারবার আড়তে। প্রায় আড়াই থেকে তিন টন ইলিশ মাছ ঢুকেছে ডায়মন্ড হারবার আড়তে যার সাইজ ৪৫০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম। আড়তে পাইকারি দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকা করে। অবশ্য গত ৩ বছর জালে সেভাবে ইলিশ না পড়ায় মরসুমের প্রথম ইলিশ ঢোকাতে আশার আলো দেখছেন মৎস্যজীবী থেকে আড়তদারেরা। এই খবরে মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি খুশি ইলিশ প্রেমী বাঙালিও।
দিন দুয়েকের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে বলে ঘোষণা করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফলে জালে ভাল ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশাবাদী মৎস্যজীবীরা। দিঘার এক মৎস্যজীবীর কথায়, জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে সমুদ্রে ইলিশের দেখা মেলে। এখন বর্ষা না নামলেও কয়েক দিনের মধ্যে বর্ষা নামতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। তাই মরশুমের শুরুতে ভালো পরিমাণ ইলিশ জালে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। জালে বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়লে বাজারে ইলিশের দামও কম হবে বলে জানান তাঁরা। এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকে মাছে ভাতে বাঙালি। বর্ষায় একথালা খিচুড়ি ও ইলিশ মাছ ভাজাতেই তো রয়েছে রসনা তৃপ্তির চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: Agnipath: বিক্ষোভের আঁচ বাংলাতেও, রাজ্যজুড়ে একাধিক স্টেশনে অবরোধ