Bagtui: Lalan Sheikh the main accused in Bagtui case died in CBI custody, Lalan Sheikh's family accused CBI over his death

Bagtui: সিবিআই ক্যাম্পে ঝুলন্ত দেহ বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের! খুনের অভিযোগ করলপরিবার

সিবিআই হেফাজতে আত্মঘাতী হয়েছেন বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। এমনটাই দাবি করেছেন তদন্তকারী সংস্থা। মৃতের পরিবারের পালটা দাবি, খুন করা হয়েছে লালন শেখকে। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাটে সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে চলাকালীন মৃত্যু হয় লালনের। তখন বিকেল ৪টা বেজে ৫০ মিনিট হয়েছে। এর পর ভিডিয়োগ্রাফি করে দেহ পাঠানো হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। যদিও কী কারণে এই মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

লালনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। সোমবার লালনের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর আত্মীয়রা ভিড় করেছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। শোকের ছায়া নামে এলাকায়। লালনের দিদি সামসুন্নাহার বিবি অভিযোগ করেন, ‘‘ওকে সিবিআই এত মেরেছিল যে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না। ওকে জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি। আমরা সিবিআইয়ের শাস্তি চাই।’’ লালন শেখের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘আমার বাড়ি শেষ করে দিয়েছে সিবিআই। ভাদুর ভাইরা আমাদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমার স্বামীকে মেরে দিয়েছে সিবিআই। আমার সামনে আজকে মারল। আমাকেও মেরেছে সিবিআই।’’

আরও পড়ুন: Weather Update: তাপমাত্রা ১৬-র নীচে, মরসুমের শীতলতম দিন রবিবারই

উত্তেজনা প্রশমন করতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের সামনে পৌঁছে যায় বীরভূম জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রামপুরহাটের এসডিপিও-সহ অন্যান্য আধিকারিক উপস্থিত হন। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকা।

লালনের বিরুদ্ধে বগটুইয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ছিল। তাঁকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে কয়েক দিন আগে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত ৪ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে বিচারক তাঁকে ৬ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদুকে। সেই খুনের পর রাতে বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।

আরও পড়ুন: Sutapa Murder Case : অনলাইনে বন্দুক কেনে সেই সুশান্ত, এবার ডাক ফ্লিপকার্ট কর্তাকে