বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে (Bagtui Massacre) অগ্নিসংযোগের অভিযোগের জেরে অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে রবিবার গ্রেফতার করল সিবিআই। বগটুইয়ের গণহত্যা কাণ্ডে নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল লালন শেখ। শনিবার মাঝরাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আজ, রবিবার গ্রেফতার হওয়া লালন শেখকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
২২ মার্চ সন্ধেয় বগটুই গ্রামের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তিনি খুন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই রাতেই ঘটে নারকীয় বগটুই গণহত্যা। বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পালানোর সমস্ত পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আটজনের। পরে হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। এই ঘটনায় ভাদু ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে।
আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty : মিঠুনের কনভয়ে দুর্ঘটনা, ধাক্কা মারল পরপর ৩ টি গাড়ি
বিরোধীরা অভিযোগ করে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এতোবড় একটা গণহত্যা ঘটে গিয়েছে। এই ঘটনাতে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে লালন শেখের নাম উঠে আসে। ভাদু হত্যার প্রতিশোধ নিতেই সে দলবল নিয়ে ওই রাতে ভাদু হত্যায় অভিযুক্তদের পরিবারের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে গা–ঢাকা দেয় অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেন সিবিআই অফিসাররা। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আগেও একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মর্মান্তিক ওই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম চক্রী আনারুল শেখকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সম্প্রতি লালন শেখের ভাগ্নে বুলু শেখ ওরফে ডলারকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। তাকে জেরা করেই মেলে নানা সূত্র। সেই সূত্রের উপর ভর করেই সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ে লালন শেখ। এই লালনকে জেরা করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তের আরও কোনও নতুন মোড় উঠে আসে কি না সেটাই দেখার। তবে কেন সিবিআইয়ের এতদিন সময় লাগল লালনকে গ্রেফতার করতে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: Weather Update: তাপমাত্রা ১৬-র নীচে, মরসুমের শীতলতম দিন রবিবারই