হিংসার বশে তিন বছর বয়সি খুদে ননদকে বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ। পুলিশের জালে অভিযুক্ত বউদি। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার পৃথিবার ঘটনায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাথী সম্পর্কে ননদ হয় তিন বছরের ওই শিশুটি। পাশাপাশি বাড়ি তাদের। শুক্রবার সকালে বাড়ির সামনেই খেলাধুলো করছিল ওই শিশুটি। অভিযোগ, তখনই সাথী তাকে ডেকে নিয়ে ঘরে যান। সেখানে তাকে দুধ খাওয়ান। তারপরেই মুখ দিয়ে গ্যাজলা-রক্ত বের হতে শুরু করে। নেতিয়ে পড়তে থাকে তিন বছরের বাচ্চা মেয়ে সুমি সিং। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানান, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সুমির কাছে সন্তান থাকায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহের তালিকায় চলে আসে সে। স্থানীয় এক গুণিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় সুমিকে। গুণিন জানায়, “চাল পোড়া খেয়ে মুখ দিয়ে যার রক্ত বেরবে সেই খুন করেছে।” একথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বধূ। খুনের কথা স্বীকার করে সে।
জানা যায়, বৌদিই নাকি দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছিলেন ননদকে। তাতেই মৃত্যু। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযোগ স্বীকারও করেছেন বৌদি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার পৃথিবা এলাকায়। ক্যামেরার সামনেও সাথী স্বীকার করেছেন, “আমি বক মারার বিষ খাইয়ে দিয়েছি ওকে।”
পুলিশ দাবি, সাথী জেরায় স্বীকার করেছেন, তাঁর স্বামী নাকি তিন বছরের ওই বাচ্চা মেয়েটাকে থেকে বেশি ভালবাসতেন। সেটাতেই হিংসা হত তাঁর। আর তার জেরেই তিনি খুন করেছেন বলে জেরায় স্বীকার করেছেন।