জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির দোমোহনির কাছে লাইনচ্যুৎ হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস (Bikaner-Guwahati Express Derailed)। মৃত্যু হয় বহু মানুষের। এলাকাবাসীর দাবি, এরপর থেকে ভূতের উপদ্রপে ঘুম উড়েছে সেখানকার আশপাশের গ্রামের মানুষের। শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিডিও ও তার টিম। সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তারা।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য ছিল – আপনারা দিনে এসেছেন। ভূত আসে রাতে। পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য ছিল, ভূতের আতঙ্কে কেউ কেউ আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই এবার গ্রামবাসীদের মনে আতঙ্ক কাটাতে দোমহনীতে রাত জাগলেন ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী, ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস।
আরও পড়ুন: Khayrasole: কয়লা চুরি রুখতে গিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ, ডাম্পারে আগুন – গুলি
দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলের বগির ভিতরে থাকা ভূতদের গ্রেফতার করতে ঠায় লাইনে বসে রইলেন তাঁরা। এছাড়া ছিলেন দমকলের ওসি এবং আরপিএফ।। যাতে গ্রামবাসীদের মনে সাহস বাড়ে। তাঁর জন্য তারা শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত দোমহনীর রেল দুর্ঘটনাস্থলের বিভিন্ন এলাকা টহল দিয়ে বেড়ান। কিন্তু কোথায় ভূত? কোথায় চিৎকার? কোনও কিছুই কিন্তু এদিন রাতে শোনা গেল না বা দেখা মিলল না।
ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী বলেছেন, “ভূত বলে কিছুই নেই। নিছক মানুষের একটি মনের ভুল।” বিডিও বলেন, “ওইদিন রাতে চোখের সামনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখেন গ্রামবাসীরা। তারপর থেকেই তাঁরা আতঙ্কিত। সেই কারণেই তাঁদের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। ধীরে ধীরে তা কেটে যাবে। একজন গ্রামবাসী অসুস্থ রয়েছেন তাঁদের বাড়িতে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হবে।” ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ঝুলন সান্যাল বলেন, “এই ধরনের ভুতের কোনও অস্তিত্ব নেই এখানে। এটা গ্রামবাসীদের ভ্রান্ত ধারনা।”
আইসি তমাল দাস বলেন, “গ্রামে যে ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়েছে তা কাটাতেই আমাদের এখানে আসা। আমরা মানুষদের বোঝাব ভূত-প্রেত বলতে কিছু নেই।”
আরও পড়ুন: Budget 2022: মোদী নিলেন বাংলার নাম, নির্মলার বাজেটে কী পেল পশ্চিমবঙ্গ