সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছে। তার আগে নিউটাউনের হোটেলে দলের বিধায়কদের এনে রেখেছিল বিজেপি। ক্রস ভোটিংয়ের ভয় থেকেই এমন সিদ্ধান্ত, কটাক্ষ তৃণমূলের । যদিও বিজেপির দাবি, সময়মতো বিধানসভায় পৌঁছনো ও প্রশিক্ষণের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে চাপানউতোরের মাঝে উস্কে গেল ‘রিসর্ট রাজনীতি’র বিতর্কও!
আগেই সাতজন তৃণমূল শিবিরে চলে গিয়েছেন। সাংসদ অর্জুন-পুত্র পবন কী করবেন তা নিয়ে ধন্দে ছিল বিজেপি। তাই ৬৯ জনকে বিধায়ককে নিউটাউনের ঝাঁ-চকচকে ওয়েস্টিন হোটেলে নিয়ে রাখে বিজেপি। যা নিয়ে মঙ্গলবারও আলোচনার শেষ নেই। সূত্রের খবর, হোটেলে মোট ৩৬টি ঘর বুক করে বিজেপি। এক একটি এসি ঘরের দৈনিক ভাড়া প্রায় ৮ হাজার টাকার বেশি। ৩৫টি ঘরে ৬৯ জন বিধায়ককে টুইন শেয়ারিং ভিত্তিতে রাখা হয়। ডবল বেডরুমে দুজন করে বিধায়ক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘কালী এমন দেবী যিনি মদ ও মাংস খান’, পোস্টার বিতর্কের মাঝেই মন্তব্য মহুয়ার, পাশে নেই দল
রবিবার বেলা বারোটা থেকেই এক এক করে বিধায়করা হোটেলে আসতে শুরু করেন। তাঁদের জন্য এলাহি আয়োজন ছিল মধ্যাহ্নভোজে। বুফে কায়দায় লাঞ্চের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, বেগুন ভাজা, বাটার নান, পনির মশলা, পোলাও, মাটন বিরিয়ানি, চিকেন কারি, গ্রিলড ফিশ, আম সন্দেশ এবং গুলাব জামুন।
হোটেল সূত্রে খবর, লাঞ্চ এবং ডিনার মিলিয়ে দুবেলা এক একজনের খাবারের খরচ প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা করে। সবমিলিয়ে বিধায়কদের এক রাতের থাকার খরচ পড়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। এবং দুইবেলা খাওয়ার খরচ পড়েছে আনুমানিক তিন লক্ষ টাকার বেশি। এছাড়াও তাঁদের বাসে করে আনা, আবার বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া-সহ আনুসঙ্গিক খরচ সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বেশি।
বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক সংবাদমাধ্যমকে মনোজ টিগ্গা সাফাই দিয়েছেন, “কীভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে, ভোটের মক ড্রিল এবং প্রশিক্ষণের জন্য আমরা সবাই ওয়েস্টিন হোটেলে ছিলাম। অনেক বিধায়ক প্রথমবার ভোট দিচ্ছিলেন। তাঁদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল।”
আরও পড়ুন: West Bengal: ফের মোবাইল কেনার জন্য পড়ুয়াদের টাকা দেবে রাজ্য! এভাবে নিতে হবে সুবিধা