গত বছরের ২রা ডিসেম্বর মাসেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি গৌতম আদানি। বাংলায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে টুইটও করেছিলেন তিনি। এবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন গৌতম আদানির পুত্র করন আদানি। তিনি আদানি পোর্টের সিইও।
এদিন দুপুরে করণ আদানি ও আদানি গ্রুপের এক আধিকারিক আসেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন আদানি গ্রুপের আধিকারিকরা। এরপর হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে করণ আদানির বৈঠক। অর্থাৎ, এটা স্পষ্ট যে, বিনিয়োগ রূপরেখা তৈরি হচ্ছেই।
এদিনের বৈঠকে তাজপুর সমুদ্র বন্দর নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তা একপ্রকার স্পষ্টই। সূত্রের খবর, আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে হলদিয়া বন্দরের বিষয়টিও। মূল আলোচ্য বিষয়ের অনেকাংশেই ছিল হলদিয়া বন্দরের বিষয়টি। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাজপুর পোর্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে আদানি কর্তার। মূলত তাজপুরের সিচুয়েশন ইভ্যালুয়েশন বা পর্যবেক্ষণ করছে আদানি গোষ্ঠীর আধিকারিকরা। সেই বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: বাংলায় ১৫ দিন বাজবে লতার গান, সোমবার অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা মমতার
মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর গৌতম টুইটে লিখেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত। পশ্চিমবঙ্গে বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি ২০২২-এর এপ্রিলে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে (বিজিবিএস) যোগদানের জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছি।’
রাজ্যে আরও বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে চলতি বছরের ২০-২১ এপ্রিল এই দু’দিন বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস)-এর আয়োজন করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই সম্মেলনকে নজরে রেখেই গত বছর ডিসেম্বরে মুম্বইয়ের শিল্প সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন মমতা। মুম্বই সফরের আগেই দিল্লি সফর সেরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে তাঁকে রাজ্যের বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনের আমন্ত্রণও জানিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Cow Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় এবার কেষ্টকে নোটিস CBI-এর