কালীপুজোর পরদিনই মর্মান্তিক ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় (Bhatpara)। রেললাইনের ধারে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ গেল সাত বছরের এক শিশুর। জখম এগারো বছরের আরেকজন। বিস্ফোরণে (Blast) তার হাত উড়েছে বলে খবর। জখম বালককে ভরতি করা হয়েছে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এই দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ। কালীপুজোকে (Kali Puja) সামনে রেখে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির জন্য রেললাইনের ধারে কেউ বা কারা বোমা ফেলেছিল বলে অভিযোগ তাঁদের। রেলের আশেপাশে বহু অসামাজিক কাজকর্মের ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে, এই অভিযোগেও সরব তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেমচাঁদ নগর এলাকায় বোমা ফাটে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। আর সেখান থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে একটি শিশুর। অপর একটি শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নৈহাটির জিআরপি–আরপিএফ এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Weather Update: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, কালীপুজোয় প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা বাংলায়!
পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে বোমাটি কেউ ফেলে রেখেছিল। সেটাকেই বল ভেবে খেলতে যায় ৭ বছরের একটি শিশু। আর বোমাটি হাতে নিতেই বিকট শব্দে ফেটে যায়। আর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিশুটি। তার সঙ্গেই আরও একটি শিশুও গুরুতর জখম হয়েছে। দু’জনকেই স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর অন্যজনের অবস্থাও সঙ্কটজনক। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠেছে, রেল গেটের পাশে এভাবে বোমা রেখে যাওয়ার উদ্দেশ্য কী হতে পারে? প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ যাতায়াত করেন এই এলাকায়। পুজোর সময় মানুষের পারাপার বেড়েছে। কে বা কারা বোমা রেখে গেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার পরই ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, “আরপিএফ আছে, আমাদের রাজ্য পুলিশও এসেছে। পুলিশ প্রশাসন দেখছে।”
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: আড়ম্বরহীন অনুব্রতর কালীপুজো, মাত্র ৪০ ভরি সোনার গয়নায় সাজল প্রতিমা