পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বঙ্গ–বিজেপি (BJP)। বারবার তা মিটিয়ে নিতে বলা হলেও সেটা হয়নি। বরং তা ক্রমাগত বেআব্রু হয়ে পড়ছে। কয়েকদিন আগে মিঠুন চক্রবর্তী–সুকান্ত মজুমদারের সামনে এমন ঘটনা ঘটেছিল রাঢ়বঙ্গের সাংগঠনিক বৈঠকে। এবার নয়াদিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বঙ্গ–বিজেপিকে দাওয়াই দিলেন। দলের অন্দরের আকচাআকচি পরিস্থিতিতে বঙ্গ–বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষমতা কার্যত কেড়ে নিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, এবার বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে নয়াদিল্লির নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে রাজ্য, জেলা বা মণ্ডল পর্যায়ে কোনও সাংগঠনিক পরিবর্তন করার এক্তিয়ার থাকছে না বঙ্গ–বিজেপির। এই সিদ্ধান্ত জানার পর রাজ্য অফিসে এখন পিন পড়ার নীরবতা বিরাজ করছে। আন্দোলন সেভাবে করতে দেখা যায়নি। যা হয়েছিল সেটা চূড়ান্ত ফ্লপ। জেলাগুলিতে সংগঠন তলানিতে। সেটা রিপু করা যায়নি। বাকি যেটুকু কাজ বেঁচেছিল রাজ্য নেতাদের হাতে সেটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন তাঁরা কী করবেন? সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: Laxmi Bhandar: পুরুষের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে! হঠাৎ বন্ধ কেঁদে হাজির বিডিওর কাছে
সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার নির্দেশ, এখন থেকে নয়াদিল্লিকে না জানিয়ে কোনও সাংগঠনিক রদবদল করা যাবে না। নতুন কাউকে পদে বসানো বা কাউকে সরানোর ক্ষেত্রে সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডেদের সাংগঠনিক রিপোর্টের ভিত্তিতেই করা হবে। আর অনুমতি ছাড়া কোনও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না
এখানেই অনেকেই মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তথা আরএসএস বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে সৌজন্যতার আবহই ধরে রাখতে চায়। তাই বঙ্গ বিজেপির ডানা ছাঁটতে বিন্দুমাত্র পিছু পা হচ্ছেন না তাঁরা। আগামী দিনে তাই মমতার ওপর মোদীর(Narendra Modi) আস্থা বাড়লে তাতে অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
আরও পড়ুন: TMC: তৃণমূলের প্রতীক কাড়ার হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, সমালোচনায় স্পিকার! সরব বিরোধীরাও