বিধানসভায় সাসপেন্ড হয়ে যাওয়া বিজেপি-র সাত বিধায়ক আপাতত দৈনিক ভাতার টাকা পাবেন না। সেই তালিকায় রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বৃহস্পতিবারই বিধানসভার সচিবালয় চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে ওই বিধায়কদের। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, যত দিন তাঁরা সাসপেন্ড থাকবেন তত দিন বিধানসভার কোনও স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু বিধানসভায় যে চেম্বার পান সেখানেও যেতে পারবেন না। থাকবে না বিধানসভার লবিতে যাওয়ার অধিকার। এই চিঠি পাওয়ার পরে ক্ষুব্ধ শুভেন্দু টুইট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি চলছে। এই প্রথম বার টানা বিরোধিতার মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। আর তাই বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: ‘হিংসাত্মক পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ডাক রাজ্যপালের
রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারে বিজেপি পরিষদীয় দল। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ চলছে।সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে ‘হাতিয়ার’ করে আদালতে যেতে পারেন শুভেন্দুরা। তা হল ২০২১ সালের জুলাই মাসে মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে। ‘অসংসদীয়’ আচরণের অভিযোগে তাঁদের এক বছরের জন্য বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শাস্তিপ্রাপ্ত বিধায়করা। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের সাসপেনশন বাতিল করে দেয়।
সাসপেন্ড করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাত ও ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মনকে। তার আগে রাজ্যপালের বক্তৃতার দিন গন্ডগোলের জেরে সাসপেন্ড হয়েছেন নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: আজ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, গরমের হাত থেকে রেহাই মিলবে কি?