সাতসকালে বীরভূমের (Birbhum) কীর্ণাহারে উদ্ধার এক মহিলার মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মঞ্জু বাগদী। বয়স ৩৮। সোমবার কীর্নাহার থানা এলাকার হরানন্দপুর গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পরিচিতের মধ্যেই কেউ তাঁকে ডেকে ধর্ষণ করে খুন করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
সোমবার কীর্নাহার থানার হরানন্দপুর গ্রামের এক মাঠের মধ্যে ওই মহিলার দেহ পড়ে ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, তাঁর গলায় শাড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। শোনা গিয়েছে, ৩৮ বছরের মঞ্জু বাগদীর স্বামী বহুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তারপর থেকে একাই থাকতেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, বিধবা ওই মহিলার একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও ছিল।
আরও পড়ুন: কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড তুফানগঞ্জ, নববর্ষে ভাঙল বাড়ি, ঘটল প্রাণহানি
এদিন সকালে স্থানীয়রাই প্রথমে মঞ্জু বাগদীর দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। ৩৮ বছরের মহিলার দেহ উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মাঠের মধ্যে কীভাবে এক মহিলার দেহ এভাবে পড়ে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষদর্শীদের একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মহিলার পরিচিতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মঞ্জুর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়দের এও দাবি, দেহ উদ্ধারের সময় তরুণীর গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো ছিল। গত কয়েক দিনে দু’দুটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলায়। শান্তিনিকেতন এবং কাঁকড়াতলা এলাকায় দুই নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনার পর ফের এক মহিলার রহস্যমৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন: Weather Update: রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর, বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ