কেন্দ্রের মোদী সরকারের দেওয়া পদ্মভূষণ সম্মান প্রত্যাখ্যান করলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের বিকেলে প্রথা মেনে পদ্মসম্মান প্রাপকদের তালিকা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পদ্মভূষণ প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে বুদ্ধবাবুর। এর পরই তিনি সম্মান গ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সূত্রের খবর, পূর্বসূরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পদ্ম পুরস্কার ফেরালেন তিনিও।
রাতে বুদ্ধদেব নিজেও বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘পদ্মভূষণ পুরস্কার নিয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে এ নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। যদি আমাকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দিয়ে থাকে, তা হলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি।’
বুদ্ধদেবকে পদ্মভূষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা হতে সাড়া পড়ে সিপিএমের অন্দরে। দলের রাজ্যসভা সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, বুদ্ধদেব পদ্মসম্মান নেবেন না। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের রাতে যাওয়ার কথা বুদ্ধদেবের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে। যদিও বুদ্ধদেবের পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়, তার আগেই বুদ্ধদেব ওই খেতাব প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ওষুধের পার্সেল খুলতেই প্রবল বিস্ফোরণ! উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে জখম ৪
প্রসঙ্গেত, বুদ্ধদেবকে ওই সম্মান দেওয়া হচ্ছিল, ‘সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদান’-এর স্বীকৃতির কারণে। অন্তত তেমনই ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। ঘটনাচক্রে, ইদানীং কেন্দ্রীয় সরকার পদ্মসম্মানের জন্য কারও নাম ঘোষণা করার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বের সম্মতি নেয়। ঠিক যেমন মঙ্গলবারই বিকেলে ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ফোন করে তাঁর সম্মতি চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তিনি তাঁর অসম্মতির কথা জানিয়ে দেন।
সে ভাবেই বুদ্ধদেবের বাড়িতেও ফোন করা হয়েছিল বলে খবর। অসুস্থ বুদ্ধদেব ইদানীং শায়িতই থাকেন। বাড়ির ল্যান্ডলাইনে ফোন এলে অন্য কেউ ধরেন। মঙ্গলবারও তেমনই ফোন এসেছিল। কেউ একজন ফোন ধরায় তাঁকে জানানো হয়, বুদ্ধদেব পদ্মভূষণ পাচ্ছেন। তার পরেই ফোন কেটে যায়। ‘সম্মতি’ নেওয়া হয়নি বলেই সূত্রের দাবি। এবং যেহেতু ফোনটি এসেছিল ল্যান্ডলাইনে, তাই ফোনকারীর পরিচয়ের সত্যাসত্যও যাচাই করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গ বিজেপি অভিভাবকহীন- এবার বোমা ফাটালেন হিরণ; মানসিক সমস্যা আছে ওদের, পাল্টা কটাক্ষ দিলীপের