ভয়াবহ দুর্ঘটনা বর্ধমান স্টেশনে। জলের ট্যাংক ভেঙে এবার প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর! আহত ৩৩ জন।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে ছিল ওই ৫৩ হাজার গ্যালনের জলের ট্যাঙ্কটি। অন্যান্যদিনের মতোই বুধবার সকালে বর্ধমান স্টেশন ছিল যাত্রীতে ভরা। শেডের তলায় ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বহু যাত্রী। ওই শেডের ঠিক উপরেই ছিল জলের ট্যাঙ্কটি। আচমকাই ঘটে দুর্ঘটনা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিরাট ট্যাঙ্ক। শেডের নিচে থাকা যাত্রী ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান। জখম হন কমপক্ষে ৩০ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তড়িঘড়ি পুলিশ, রেলের আধিকারিকরা পৌঁছন ঘটনাস্থলে। শুরু হয় উদ্ধার কাজ।
দুর্ঘটনার জেরে বর্ধমান স্টেশনের ১, ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই ট্যাংকটির বেহাল দশা। দেওয়াল দিয়ে জল পড়ত। নিচে দিয়ে যাওয়ার ভিজে যেতেন অনেকেই। কিন্তু ট্যাংকটি মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। তারজেরে ঘটল বিপত্তি।
কীভাবে দুর্ঘটনা? যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই ট্যাংকটির বেহাল দশা। দেওয়াল দিয়ে জল পড়ত। নিচে দিয়ে যাওয়ার ভিজে যেতেন অনেকেই। কিন্তু ট্যাংকটি মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ মানতে নারাজ রেল। তাদের দাবি, বর্ধমান স্টেশনে ওই জলের ট্যাংকটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হত। শেষবার পরিষ্কার করা হয়েছিল গত ২ ডিসেম্বর। তখন কোনও সমস্যা ছিল না। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে যাত্রীরা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বর্ধমান স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে অনুসন্ধান অফিসের সামনে বারান্দা চাঙড়় খসে পড়েছিল। আহত হয়েছিলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। ফের দুর্ঘটনা বর্ধমানে।
স্টেশনে দুর্ঘটনায় আহতদের সব রকম সাহায্য করবে রেল। অন্য জায়গায় চিকিৎসা করানোর জন্য সমস্ত রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত রেল কর্তৃপক্ষ।এমনটাই জানালেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন বর্ধমান স্টেশনে জল ট্যাঙ্ক ভেঙে যারা আহত হয়েছেন তাদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই যারা আহত হয়েছেন, তাদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কৌশিক মিত্র নিজে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা সেখানে রয়েছেন।