দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয়ে গেলেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। রাস্তার উপরেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ ফেলে তাঁর ব্যাগভর্তি ৪০ লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে বাইকে করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
৩৭ বছরের সমীরের গয়নার দোকান রয়েছে কোলাঘাটের জিঞদা বাজারে। প্রতি দিনের মতো সোমবার দোকান বন্ধ করে জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্যবসায়ী। রাত ৯টা নাগাদ কোলাঘাট থানার দেউলবাড় এলাকায় সবিতা রাইস মিলের কাছে আচমকা দুষ্কৃতীরা তাঁর সামনে চলে আসে। সমীরের মাথা লক্ষ্য করে একটি গুলি করা হয়। তার পর ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। মৃতের বাবা সুকুমার পড়িয়া জানান, গত রাতে সমীরের ব্যাগে ছিল পাঁচ থেকে ছ’টি বাড়ির বিয়ের গয়না। এ ছাড়া, ২০০ গ্রাম সোনা কিনে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ছিল আড়াই কেজি রুপোর গয়না। সব মিলিয়ে যার বাজারমূল্য ৪০ লক্ষ টাকা।
তবে এই প্রথমবার নয়। যুবকের কাকার দাবি, এর আগেও পরপর দুবার দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি অনুযায়ী, প্রথমবার বাড়ির সামনে লুটপাটের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। দ্বিতীয়বার ব্যবসায়ীর দোকান থেকে লুটপাট করা হয়। গয়নাগাটি নিয়ে পালায় আততায়ীরা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃত ব্যবসায়ীর কাকার দাবি, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে হয়তো প্রাণ যেত না সমীরের।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “ঘটনার পরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জেলার সদর দফতর এবং কোলাঘাট থানায় পৃথক ভাবে তদন্ত চলছে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা নিছক ডাকাতি, না কি এর নেপথ্যে কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।’’