ব্যক্তিগত কারণ দর্শিয়ে গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি এবং নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ-সহ মোট ১০টি মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি-র ১০টি মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু শুনানির শুরুতেই বিচারপতি ট্যান্ডন জানিয়ে দেন তিনি আর এই মামলা শুনছেন না। শুধু তাই নয়, এ ছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা-সহ মোট ১০ টি মামলা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্র সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এরফলে আবার মামলা যাচ্ছে প্রধান বিচারপতির এজলাসে।
স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র নিয়োগ সংক্রান্ত একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য। সেই কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিন্হা এবং বাকি চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। তার পর শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কিন্তু বাকিরা সিবিআইয়ের মুখোমুখি না হয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: Rampurhat Clash: বিজেপি শাসিত রাজ্যের বেলায় নীরব থাকেন কেন! ধনখড়কে চিঠি মমতার
সেই মতো প্রধান বিচারপতি দুপুর ১ টার সময় স্থির করে দিয়েছিলেন বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য বলে দেওয়া হয়েছিল। দুপুর ২ টোর সময় দেখা যায়, বিচারপতি ব্যস্ত থাকার কারণে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। ওই অবস্থায় ফের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন চার এসএসসি কর্তার আইনজীবীরা। তাঁরা আবেদন করেন, তাঁরা নিরুপায়। এই মামলা আজকেই যাতে শোনা হয়, তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি জানান। এরপর মামলাটি প্রধান বিচারপতি পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনিও এই মামলা শুনতে পারবেন না। কারণ, তাঁর নিজস্ব কিছু মামলা রয়েছে, সেগুলি নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণেই ওই মামলা তিনি শুনতে পারছেন না।
এই পরিস্থিতিতে এসএসসি কর্তাদের আইনজীবীরা ফের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন। কিন্তু ততক্ষণে বিকেল সাড়ে চারটে অতিক্রান্ত। বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত আদালতের নির্দিষ্ট সময় থাকে। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি সোমবার আর শুনলেন না চার কর্তার আর্জি। ফলে অস্বস্তি বহাল থাকল চার এসএসসি কর্তার। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “এত তারাহুড়ো কেন? সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ভুল হলে, পরে বিচার হবে। ফাইল হলে বিবেচনা করা হবে।” এদিকে এস পি সিনহার আইনি রক্ষা কবচ শেষ হচ্ছে আজ রাতেই।
আরও পড়ুন: Naseeruddin shah: সায়রার প্রচারে এ বার নাসিরুদ্দিন! বালিগঞ্জের সিপিএম প্রার্থীর হয়ে চাইলেন ভোট