একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা বিজেপি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে থাকে। পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। অথচ সেই অভিযোগগুলিকে মান্যতা দিলেন না কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতীরাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে রাজ্য বিজেপির নেতাদের মুখ পুড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই জানিয়ে দিলেন, পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পঞ্চায়েত মন্ত্রকে জমা পড়েনি। আর এই মন্তব্যে পঞ্চায়েত নিয়ে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকেই সার্টিফিকেট দিলেন পঞ্চায়েতীরাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল।
দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির (BJP) বুথ সশক্তিকরণের কাজ খতিয়ে দেখতে বুধবারই কলকাতায় এসেছেন মোরেশ্বর পাটিল। এদিন সেখানেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বাংলায় পঞ্চায়েত দুর্নীতি নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ জানায়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এভাবে রাজ্যের পাশে দাঁড়ানোয় বিজেপির মুখই পুড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আসছে বিজেপি। বিজেপির এই অভিযোগ যে কার্যত অসাড়, তথ্য-প্রমানহীন ও অপপ্রচার সেটাই এদিন প্রমানিত হয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: North Bengal: গভীর রাতে ভূমিকম্প উত্তরবঙ্গে, কম্পন স্বল্পস্থায়ী
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি। তারপরও এই বিষয়ে দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর সাফাই, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর চেয়ারে থেকে এই কথা বলেছেন। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে জমা পড়ার কথা নয়।’ তবে সুকান্ত–শুভেন্দুর তোলা একাধিক অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
১০০ দিনেক কাজ, বা আবাস যোজনার (PM Awas) সুবিধা থেকে এরাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ করে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই স্বীকার করে নেন ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে না। কপিল মোরেস্বর পাটিল বলেন, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে একাধিক রাজ্যে নামবদলের অভিযোগ আসছে। সেটা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের ১০০দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়া হয়নি। শুধু স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Habra: বৃদ্ধা মাকে স্টেশনে রেখে উধাও ছেলে, সারাদিন একলা বসে রইলেন ৭৫-এর সরযূ