উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফিরেই কেতুগ্রামের নার্সের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহত নার্সের চিকিৎসার ভার রাজ্যের, এমনটাই ঘোষণা করলেন তিনি। পাশাপাশি, ওই তরুণীর চাকরিতে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেদিকটাও দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।
বুধবার ভবানীপুরে খুন হওয়া শাহ দম্পতির বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় গিয়ে দেখা করেছেন ওই তরুণীর সঙ্গে। নার্সিং পরীক্ষার প্যানেলের ২২ নম্বরে নাম ছিল ওই তরুণীর। তার ডান হাত নেই। তাই সে যে কাজটা করতে পারে আমরা তার ব্যবস্থা করব।’’ পাশাপাশি রাজ্য সরকার রেণুর চিকিৎসার খরচ দেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও বলেন, ‘‘ওই তরুণী যেখানে চিকিৎসা করিয়েছেন সেখানে ৫৭ হাজার টাকা নিয়েছে। এটা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে হয়নি, কেন হয়নি তা দেখছি। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছি।’’ রেণুর জন্য কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: Local Trains: আগামী ১ মাস ব্যান্ডেল শাখায় বাতিল একাধিক লোকাল ট্রেন, যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা
কেতুগ্রামের (Ketugram) কোজলসা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি আক্রান্ত রেণু খাতুন নামে ওই তরুণীর। বাপেরবাড়ি কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামে। চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হকের ছোট মেয়ে রেণু। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে কোজলসা গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ শেখের একমাত্র ছেলে শের মহম্মদ শেখ ওরফে শরিফুলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। রেণু নিজে নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স পদে চাকরি করছিলেন। ফলে সরকারি চাকরির চেষ্টা করছিলেন। সম্প্রতি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। কয়েকদিন আগেই প্যানেলে নাম ওঠে তাঁর। শুধু চাকরিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। সরকারি চাকরি পেলে স্ত্রী হাতছাড়া হয়ে যাবে। এই আশঙ্কার তাঁর ডান হাত কেটে দেয় শরিফুল।
পুলিশ শের মহম্মদ এবং তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রেণু। বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রী যাতে হস্তক্ষেপ করেন সেই আবেদন আগেই জানিয়েছিলেন রেণু।
আরও পড়ুন: পরনে আদিবাসী পোশাক, হাসিমারায় গণবিবাহ অনুষ্ঠানে খোশমেজাজে Mamata Banerjee