শেষমেশ তাল কাটলই! রাজভবনের সঙ্গে শাসকদলের সম্পর্কে চিড়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্যপাল সুর চড়াতেই যারপরনাই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। জোড়াফুলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, ‘উনি নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বলে বিজেপির এজেন্ডা অনুযায়ী বিবৃতি দিলেন।’ তৃণমূলের মুখপত্রেও রাজ্যপালের কড়া সামালোচনা করা হয়েছে।
সোমবার ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “রাজ্যপাল যে আসলে বিজেপিরই গোপন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়িত করার প্রতিনিধি তা প্রমাণ করেছিলেন জগদীপ ধনকড়। প্রাক্তন রাজ্যপালের পথ দ্রুত অনুসরণ করার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন বর্তমান রাজ্যপাল।” রাজ্যপাল একতরফা বিজেপির কথা শুনে বিবৃতি দিয়েছেন বলেও দাবি করা হয় সম্পাদকীয়তে। এছাড়া বিএসএফের পদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগের প্রসঙ্গও এদিনের সম্পাদকীয়তে উঠে এসেছে। কেন রাজ্যপাল এ ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Ration Dealers’ Strike: আজ থেকে ৩ দিনের রেশন ধর্মঘট, ব্যাপক ভোগান্তির আশঙ্কা
উল্লেখ্য, গত শনিবার কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। নিশীথ প্রামাণিকের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, পাথর বৃষ্টি এমনকী গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। গোটা ঘটনায় বিজেপি আঙুল তুলেছে শাসকদল তৃণমূলের দিকে। নিশীথ প্রামাণিক নিজেও সাংবাদিক বৈঠক করে শাসকদলকেই তুলোধনা করেছেন।
রাজভবনের তরফেও ঘটনার কড়া বিবৃতি দেওয়া বয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হলে তিনি নীরব থাকবেন না। এমনকী শনিবারের ঘটনা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছে রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ শাসকদল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে শুরু থেকে সম্পর্ক মসৃণ ছিল রাজ্য সরকারের। সরস্বতী পুজোর দিন বাংলায় হাতেখড়ি দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মোটের উপর জগদীপ ধনকড়ের জমানা ভুলে বোস আসার পর থেকে রাজভবনের সঙ্গে সম্পর্ক ‘ভালো’ করার চেষ্টা শুরু করে দেয় নবান্ন। তবে এবার বোধ হয় সেই মধুর সম্পর্কের তাল কাটল।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : ‘আপন বাংলা’ কার্ড আনছেন মমতা, খবর শুনেই খুশি প্রবাসী বাঙালিরা