অবশেষে বঙ্গোপসাগরের সীমানা ছাড়িয়ে উপকূল ছুঁয়ে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু করল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, রাত ৯টা থেকে আগামী চার ঘণ্টা এই প্রক্রিয়া জারি থাকবে। অর্থাৎ দ্রুতবেগে স্থলভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে অতি তীব্র এই ঘূর্ণিঝড়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বাংলাদেশের খেপুপাড়ার কাছেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালাবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ১৫ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করেছে সেদেশের আবহাওয়া অধিদফতর। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ফেনি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি রয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিমি।আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে রাত এবং ভোরের দিকে কলকাতায় ঝড় উঠতে পারে। ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হবে। সেইসঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে সেইসময়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে জেলায় রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে লাল সতর্কতা জারি রয়েছে ইতিমধ্যে। দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে জারি কমলা সতর্কতা। সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গঙ্গাসাগরে ইতিমধ্যে ঝড়ের দাপট শুরু হয়েছে। তার জেরে ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছ। তড়িঘড়ি রাস্তায় নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য গাছ কাটা শুরু করলেন।দুর্যোগ মোকাবিলায় টাস্কফোর্স গঠন রাজ্যপালের। ৮ সদস্যের টিম গড়লেন সি ভি আনন্দ বোস। আমজনতার জন্য সারারাত খোলা রাজভবনের দরজা। নজরদারিতে রাজভবনের আধিকারিকরা।