সাগরের উপর তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। শনিবার সকালে তা পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। তার জেরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে ঝড়। রবিবার দুই ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ১০০-১১০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে ঝড়। দুই জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। রবিবার কলকাতায় ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ের সম্ভাবনা। সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শনিবার সকালে সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার পর রাতে বাংলাদেশ এবং তার সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে সরতে থাকবে রেমাল। রবিবার ২৬ মে মাঝরাতে সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে সুন্দরবনের আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে সুন্দরবনে রেমালের আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে । সব থেকে বেশি দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলে। ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার ও সোমবার বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রেমালের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে। ২৬ তারিখ রবিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনায় ঝড় এবং ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পূর্ব মেদনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, নদিয়া জেলায়। অতি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমানে। রবিবার এই জেলাগুলিতে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। এরপর সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
২৬ ও ২৭ মে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, নদিয়ায় ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা। ২৩ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত মৎসজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।