অধিকারী গড় বলে পরিচিত তমলুক বিধানসভা কেন্দ্র। কাঁথি এবং তমলুক এই দুটি আসন মোদীকে উপহার দেবেন, অঙ্গীকার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তমলুক আসনে তৃণমূল বেছে নেবে কাকে? এই নিয়ে জেলার নেতারাও ধোঁয়াশায় ছিলেন। সেখানেই কি ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
বাংলার রাজনীতির হাওয়ায় ভাসছে তমলুক আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী করতে পারে সদ্য রাজনীতিতে যোগদানকারী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে ছাত্রযুবরা যে লড়াই করবেন তা আগেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরই শুভেন্দু গড় হিসাবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক আসন থেকে তৃণমূলের মুখ দেবাংশু ভট্টাচার্য।
তৃণমূলের রাজ্য আইটি সেলের সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্য। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে আইটি ও সোশাল মিডিয়া সেলকে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। বিজেপির আইটি সেল বরাবরই সক্রিয়। অমিত মালব্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যুতে তারা যেভাবে কখনও প্রচারক, কখনও বিরোধিতার সুর চড়ায় তার সঙ্গে পাল্লা দিতে সেভাবে কোনও রাজনৈতিক দলকেই দেখা যায় না। তবে দেবাংশুর নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের আইটি সেল বুঝিয়ে দিয়েছে শুধু রাজনীতির ময়দানেই লড়াই নয়, বিরোধীদের সঙ্গে জোর টক্কর চলবে সোশাল মিডিয়াতেও। সেই দেবাংশুই এবার লোকসভার মতো হাইভোল্টেজ নির্বাচনে তৃণমূলের মুখ।
কদিন আগে অভিজিতের নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তোমার মুখোশ খুলে গেছে। যে ছাত্রছাত্রীদের তোমরা চাকরি থেকে বঞ্চিত করেছ আমি তাঁদেরই নিয়ে তোমার বিরুদ্ধে প্রচার করব। এখন মনে করা হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতেই তমলুকে প্রার্থী করা হল দেবাংশুকে।
ঝাঁঝালো বক্তৃতা অল্প দিনেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয় দেবাংশুকে। এবার সেই তরুণ মুখের উপরেই ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক মন্তব্যের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে দেবাংশুকে। সেক্ষেত্রে, তমলুক আসন থেকেই যদি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হয়, তাহলে খেলা যে জমে যাবে, এরকমটাই বলছেন অনেকে।