লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় সিদ্ধান্ত ঘাটালের সাংসদ দেবের। জেলাশাসক দফতর সূত্রে খবর, তিনি তিনটি সরকারি কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এরপরেই দেবকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাছে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন দেব। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এবং বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের সহ সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সাংসদ। কী কারণে আচমকা তিনি এমন বড় সিদ্ধান্ত নিলেন, তা ঘিরেও জল্পনা বাড়ছে।
অতীতে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে আর লড়তে হতে চান না বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দেব৷ এরপরেও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি জানিয়ে দেন, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে দেবকেই তিনি প্রার্থী করবেন।এরপর দেবও জানান, তিনি লড়তে প্রস্তুত।কিন্তু তারপরেই এই ইস্তফা নয়া জল্পনার জন্ম দিয়েছে। তৃণমূলের তরফে মঙ্গলবার পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে দলের ভিতরে গুঞ্জন যে, ইতিমধ্যেই ঘাটালে ‘বিকল্প’ প্রার্থী নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। অনেকের বক্তব্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরের বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকে ঘাটালে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল।
তবে দলের অন্য অংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ বেলায় কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে আগাম জল্পনা অর্থহীন। অনেকে আবার এর সঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচনের সুক্ষ্ম যোগাযোগও দেখছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি দেবকে রাজ্যসভা ভোটে এগিয়ে দিতে চাইছেন? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, লোকসভা বা রাজ্যসভা নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হন তাঁরা অফিস অফ প্রফিটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। রাজ্য রাজনৈতিক মহলের অন্দরে তীব্র জল্পনা দেব কি নিম্নকক্ষের বদলে উচ্চকক্ষে যাবেন? অবশ্য এই ইস্তফা প্রসঙ্গে এখনও দেব মুখ খোলেননি।