উত্তর দিনাজপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছেন অভিনেতা তথা ঘাটালের বিদায়ী সাংসদ দেব। মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার সময় তাঁকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুললেন এক ব্যক্তি। কোনও বিরক্তি প্রকাশ নয়, বরং ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন দেব। আবার হাতও মেলালেন।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেব (Dev)। ঘাটালের দু’বারের তারকা সাংসদ এবার প্রচারের ময়দানে আমজনতার নাড়ির জড়িপ মেপে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, “গতবারের তুলনায় এবার আরও বেশি মার্জিনের ভোটে জিতব।” এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বেরতে গিয়ে যখন ‘জয় শ্রীরাম’ শোনেন, হাসিমুখে স্লোগান দেওয়া ব্যক্তির দিকে এগিয়ে যান। হাত মেলান তাঁর সঙ্গে। আলিঙ্গনও করেন। এরপরই বলেন, “আমার ১০ বছর হয়ে গেল রাজনীতিতে। রামনবমীতে আমার জয় শ্রীরাম বলতে অসুবিধা নেই। আমার মনে হয় রাম ঈশ্বর। আমরা ভারতবাসী, শুধু হিন্দু বলব না। আমরা দরগাতেও যাই। অনেক মুসলমান সিরিডি সাঁইবাবার কাছেও যায়। ভারতবাসীকে ধর্ম শেখাতে আসবেন না।”
বিদায়ী সাংসদ আরও বলেন, “দেব জানে সবটা কী ভাবে সামলাতে হয়। সব কিছু রাগ, অভিমান দিয়ে হয় না, কিছু কিছু জিনিস ভালবাসা দিয়েও হয়।” যে ব্যক্তি তাঁকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলেছেন, সে ব্যক্তি যে রাজনৈতিক দলেরই হোন না কেন, তিনি আগে ভারতবাসী। এমনটাই মনে করেন দেব। তাঁর কথায়, “সবার আগে উনি ভারতবাসী এবং আমরাই এই বিভাজনটা করে রেখেছি। হিন্দু মুসলিম, বিজেপি, তৃণমূল— বড় বড় নেতা এই বিভাজন তৈরি করে। ভালবাসা দিয়ে সবটাই হয়। উনি ‘জয় শ্রীরাম’ বলছেন আমাকে দেখে, এটা ওঁর দোষ নয়।”
এর আগে রামনবমীর দিন লাল পাঞ্জাবি পরে ঘাটালের কুশপাতা প্রভু শ্রীরামচন্দ্র মন্দিরে গিয়ে দেব নিজেও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছিলেন। সেই সময় তারকা বলেছিলেন, “জয় শ্রীরাম। জয় জয় সীতা-রাম। রামনবমী উপলক্ষে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। যেকোনও ধর্ম আমাদের যা শেখায় তা হল শান্তির বার্তা। এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। আমায় এই সুযোগ দেওয়ার জন্য মন্দিরের, মন্দির কমিটির সকলকে ধন্যবাদ জানাই। এটাই বলব যে সবাই ভালো থাকুন। শান্তিতে থাকুন, সুস্থ থাকুন। ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করুন মানুষ যেন শান্তিতে থাকে, মানুষ যেন ভালো থাকে।”