সরকারি জমিতে ‘অবৈধ’ ধর্মীয় নির্মাণ সরাতে কড়া অবস্থান নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকার। নবান্নের (Nabanna) তরফে ৮ জেলার জেলাশাসককে লিখিত আকারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে সরকারি জমি থেকে ‘অবৈধ’ ধর্মীয় নির্মাণ সরিয়ে ফেলে নবান্নে রিপোর্ট পাঠাতে।
২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Govt Of West Bengal) সদর দফতর নবান্ন থেকে এই মর্মে জেলাশাসকদের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। নির্দেশিকাতে দেখা গিয়েছে, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলাগুলির উল্লেখ রয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে, সেই কথা মাথায় রেখেই সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসনকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ি সামনে হাজির চিতাবাঘ! কোচবিহারে জারি হল ১৪৪ ধারা
সরকারি জমি বা জনসাধারণের ব্যবহার করার জায়গায় গজিয়ে উঠেছে অবৈধ দখলদার। মন্দির বা মাজারের মতো ধর্মীয় কাঠামোও রয়েছে। তার ফলে জনস্বার্থে নেওয়া বেশ কিছু পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হয়। রাস্তা সম্প্রসারণ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সরকারকে। মানুষের জন্য নেওয়া পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্পগুলি আটকে যায়। পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন সেই এলাকার মানুষই।
২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল যে গেজেট নোটিফিকেশন করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। সেই অনুযায়ী ‘অন রিমুভাল অফ আনঅথরাইজড টেম্পলস অ্যান্ড স্রাইনস, এটস্যাটরা ফ্রম পাবলিক প্লেসেস’ নীতি মেনেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি নির্মাল্য ঘোষাল জেলাশাসকদের চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি তার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG) ও আইজি–কেও (IG)। অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন ওই আট জেলার পুলিশ কমিশনার এবং জেলার পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা সরকারি নীতি অনুযায়ী দখলদারি সরানোর সময় জেলাশাসকদের সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু এক রোগীর