কনকনে শীতের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আগামী দু’দিন রাতের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা। ফলে কমবে শীতের আমেজ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে আসা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবেই পৌষের শেষে রাজ্যে এই অকাল বর্ষণ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় শিলাবৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। এদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। তাই ফের ঊর্ধ্বমুখী পারদ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত বাবুল সুপ্রিয়, তাঁর বাবা এবং স্ত্রী দ্বিতীয় বার -টুইট প্রাক্তন মন্ত্রীর
বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে পাকা ফসল মঙ্গলবারের মধ্যে তুলে ফেলতে বলা হয়েছে কৃষকদের। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ওই সময়ে অযথা সার বা কীটনাশক প্রয়োগ না-করাই ভাল। কারণ, তা বৃষ্টিতে ধুয়ে যেতে পারে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হল ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা এবং ভারী বায়ু। কাশ্মীর দিয়ে তা ভারতে ঢোকে এবং তার পরে মধ্য ভারত দিয়ে পূর্ব ভারতে বয়ে যায় কিংবা কখনও কখনও উত্তরাখণ্ড হয়ে নেপালের দিকে চলে যায়। এই ধরনের ঝঞ্ঝার প্রভাবে কাশ্মীরে, হিমাচল প্রদেশে তুষারপাত হয় এবং বৃষ্টি হয় উত্তর-পশ্চিম ভারতে। সেই সময় উত্তুরে হাওয়া বাধা পায়। ঝঞ্ঝা যদি মধ্য ভারত হয়ে পূর্ব ভারতে বয়ে আসে, তা হলে এই অঞ্চলেও বৃষ্টি নামে এবং শীত কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। পৌষের শেষ পর্বেও ফের তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
আরও পড়ুন: এবার বীরভূমের বন্ধ কেন্দুলি মেলা! তবে বিধিনিষেধ মেনে হবে পুণ্যস্নান