দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র। DSP’র জায়গায় পাঁচিল ঘেরার কাজ শুরু করতে গিয়ে বিপাকে আধিকারিকরা। জমি দখলকারীরা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের কাজে বাধা দেন বলেই অভিযোগ। এরপরই সিআইএসএফের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা শুরু হয়। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিআইএসএফ লাঠিচার্জ করে বলেই অভিযোগ।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গান্ধী মোড় থেকে মায়া বাজার যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স। হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তা বসে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাছের গুঁড়ি, বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাস্তা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। রাস্তার বেরিয়ে হয়রানির মুখোমুখি হন নিত্যযাত্রী ও গাড়ি চালকরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: Unique ID Card: এক পরিবার, এক পরিচিতি! আধারের মতো ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির পথে রাজ্য
জানা গিয়েছে, ডিপিএলের জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল করে বসবাস করছে বেশ কয়েকটি পরিবার। তাদের বারবার উঠে যেতে বলা হলেও এলাকা ছাড়তে চাইছে না তারা। এই নিয়ে গত একমাস ধরে অশান্তি চলছে। এর আগে বেশ কিছুটা জমি নিজেদের কব্জায় আনলেও এখন পুনর্বাসন না পেলে অন্যত্র সরবেন না বলে কিছু মানুষ এককাট্টা হয়েছেন (Durgapur Chaos)। এদিন সকালে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ জমিতে সীমানা পাঁচিল দিতে গেলেই বাধা দেন তাঁরা। রাস্তা অবরোধ করে প্রতিরোধ গড়েন। বাসিন্দারা জানান, কয়েক পুরুষ ধরে এখানে তাঁরা বসবাস করছেন। হঠাৎ করে উঠে যেতে বললে কোথায় যাবেন! তাদের বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা হলে তবেই জায়গা ছাড়বেন। সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে প্রথমে তাঁদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিআইএসএফ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী লাঠির ঘায়ে রক্তাক্ত হন। এরপরেই প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়।
স্থানীয় সাংসদ সুরিন্দর সিং অহলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভকারী এক ব্যক্তি বলেন, ‘স্থানীয় সাংসদ আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াননি। কোনও রাজনৈতিক দল এখানে আসুক আমরা চাই না। সেই কারণে জাতীয় পতাকা নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি।’
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ১১ দিনের বিদেশ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, কেন স্পেন? জানালেন বিমানবন্দরে