ভোটের মুখে তৃণমূলের প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চিটফান্ড অ্যালকেমিস্টের আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তে নেমে এই পদক্ষেপ করেছে তদন্তকারীরা। এক্স হ্যান্ডেলে ইডি জানিয়েছে, তৃণমূলের ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার একটি ডিমান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অ্যালকেমিস্ট মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৪ সালের ভোটের প্রচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অরূপের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে বলেই ওই সূত্রটির দাবি। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ সময় চেয়ে নেন। তাঁর আবেদন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ইডির একটি সূত্র দাবি করে। এ নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছিল তৃণমূল। ওই মামলায় বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে কেন ধরা হবে না, সেই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের তৎকালীন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তার আগে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুলকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু শারীরিক কারণে তিনি দিল্লি যেতে পারেননি। পরিবারের আবেদন মেনে ইডি আধিকারিকেরা মুকুলের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘটনাচক্রে, তার পরেই অরূপকে তলব করা হয়।
একদা অ্যালকেমিস্টের কর্ণধার কে ডি সিং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। সারদা, রোজভ্যালির মতো ওই সংস্থার বিরুদ্ধেও চিটফান্ড কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছিল।
ED, Delhi Zonal Office has provisionally attached an amount of Rs. 10.29 Crore of All India Trinamool Congress (AITC) party in the form of a Demand Draft tendered by it during the investigation into the offence of money laundering by Alchemist Group & others.
— ED (@dir_ed) March 11, 2024
তবে ইডি এদিন যে টুইট করেছে বা পদক্ষেপ করেছে, তার সময় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। এ ব্যাপারে তৃণমূল এখনও দলগত ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ঘরোয়া ভাবে দলের এক মুখপাত্র বলেন, তৃণমূল সিএএ-র প্রতিবাদ করতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন। বিরোধীদের চুপ করাতে আগেভাগেই নন্দী আর ভৃঙ্গী তথা ইডি-সিবিআইকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।