সাত দফায় লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে শনিবার। সন্ধে গড়াতেই আগাম সমীক্ষার রিপোর্ট আসতে শুরু করেছে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে এই এক্সিট পোলের (Exit Poll) দিকে নজর সবমহলের। কী বলছে বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষা? বাংলায় কি বিজেপির উত্থান ঘটছে? উনিশের তুলনায় বাড়বে গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা? নাকি শাসকশিবিরে অক্সিজেন বাড়বে? আসন সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করে দিল্লিতে আরও শক্তি প্রদর্শনের জায়গা পৌঁছবে তৃণমূল? এসব উত্তরের আভাস খানিকটা হলেও মিলছে শনিবার সন্ধেয়।
এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত তাতে বাংলায় শাসক ও বিরোধীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। কোনও কোনও সমীক্ষক সংস্থা বাম-কংগ্রেস জোটকেও একাধিক আসনে জয়ী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখন দেখে নেওয়া যাক, কোন সমীক্ষা কাকে কত আসন দিচ্ছে।
এবিপি-C ভোটারের হিসেব অনুযায়ী –
তৃণমূল জিততে পারে ১৩ থেকে ১৭টি আসনে, বিজেপি পেতে চলেছে ২৩ থেকে ২৭। বাম-কংগ্রেসের দখলে আসতে পারে ১ থেকে ৩টি আসন।
টিভি নাইনের হিসেব বলছে –
২০১৯ এর তুলনায় বাংলার ফলাফলে তেমন হেরফের হবে না। বিজেপি আসন ১৭ থাকবে, তৃণমূল পেতে পারে ২৪ টি আসন।বাম-কংগ্রেসের দখলে আসতে পারে ১ টি আসন।
জন কি বাত সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট –
বিজেপির ২১ থেকে ২৬ আসনে জয়ী হতে পারে, তৃণমূলের দখলে আসতে চলেছে ১৬ থেকে ১৮ টি আসন। বাম-কংগ্রেসের দখলে আসতে পারে ৩ টি আসন।
রিপাবলিক-মেটরিজের সমীক্ষা বলছে –
বাংলায় বিজেপি (BJP) পেতে চলেছে ২১ থেকে ২৫টি আসন, তৃণমূলের (TMC) ঝুলিতে আসতে পারে ১৬ থেকে ২০টি। বাম-কংগ্রেস জোট জিততে পারে একটি আসনে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সেবারে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৪৩.৭ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৬ শতাংশ ভোট। ওই ভোটে বিজেপির শতকরা প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি হয়েছিল। অন্যদিকে ১৬.৭২ শতাংশ ভোট কমেছিল বামেদের। বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৭.৫ শতাংশ। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫.৭ শতাংশ।