গ্যাঁটের কড়ি খসিয়ে অনলাইন গেমের অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিল কিশোর। সব রকম সুযোগসুবিধা রয়েছে তাতে। অনেক দিন ধরেই সেই অ্যাকাউন্টের আইডি হাতানোর তালে ছিল ওই কিশোরের বন্ধুরা। শেষমেশ আইডি-টি কব্জাও করে তারা। শুধু তা-ই নয়, ওই অ্যাকাউন্টে কয়েক হাজার টাকাও ছিল। সেই টাকাও হাতিয়ে নেয় বন্ধুরা। তা নিয়ে বিবাদের জেরে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে বলে আপাতত প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মৃত কিশোরের চার নাবালক বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে বাইকের পেট্রল দিয়ে কিশোরের দেহ পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধে নাগাদ ঘোড়াইপাড়া এবং নিশিন্দ্রা নৌকা ঘাটের মাঝে আট নম্বর ব্লকের ফিডার ক্যানেলের ধারে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় পাপাই দাস (পাপ্পু) নামে বছর আঠারোর এক যুবকের দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করার পর ফারাক্কা থানার পুলিশ পাপাইয়ের চার বন্ধুর খোঁজ পায় যাদের সাথে সে নিয়মিত মোবাইল ফোনে অনলাইন গেম খেলত।
এই ঘটনার এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “মোবাইল ফোনে একটি বিশেষ অনলাইন গেম খেলার জন্য সম্প্রতি পাপাই তার এক বন্ধুর কাছ থেকে ২০০০ টাকা দিয়ে ওই গেম খেলার জন্য প্রয়োজনীয় আইডি কিনেছিল। যদিও ৭ জানুয়ারি পাপাইয়ের অপর এক বন্ধু গেম খেলার ওই “আইডি”টি “হ্যাক” করে নেয়। পাপাই “হ্যাক” করার ঘটনাটি জানতে পারলে দুই বন্ধুর সঙ্গে তার গন্ডগোল হয়। অভিযোগ সেই সময় পাপাই তার দুই বন্ধুকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল।
পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, গত ৮ জানুয়ারি পিকনিকের নামে পাপাইকে ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়। তার পর বাইকের পেট্রল গায়ে ঢেলে পোড়ানোর চেষ্টা করা হয় প্রমাণ লোপাট করতে। ওই দিন পাপাই বাড়ি না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। তার পরেই মঙ্গলবার তার দেহ উদ্ধার হয়।