নিজের মেয়েকেই ধর্ষণের অভিযোগ খোদ বাবার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। নিকৃষ্ট এই ঘটনা চলছে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে। এমনকি নাবালিকা মেয়েটি যাতে গর্ভবতী হয়ে না পড়ে সেই কারণে তাঁকে সন্তান নষ্ট করার ওষুধও খাওয়ানো হয়েছে বলে খবর।
নির্যাতিতা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশিপুর থানার পোলেরহাট অনন্তপুর এলাকায় থাকে। পড়ে নবম শ্রেণীতে। মঙ্গলবার বিকেলে এসে হঠাৎ কান্নাকাটি করতে থাকে সে। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনা। সে জানায়, গত পাঁচ বছর ধরে এসব করে চলেছে তার বাবা। মা এবং সে প্রতিবাদ করলে বেধড়ক মারধর করত। প্রাণে মারার হুমকিও দিত। ভয়ে এতদিন কাউকে কিছু বলেনি তারা। যাতে গর্ভবতী হয়ে না পড়ে, তাই মেয়েকে গর্ভ নিরোধক ওষুধ খাওয়াত মা।
সূত্রের খবর, বিগত পাঁচ বছর ধরে একই কাজ করে আসছে অভিযুক্ত বাবা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের উপর এই নির্যাতনের কথা কাউকে জানালে স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আর এই হুমকি একাধিকবার দিয়েছেন তিনি। প্রাণনাশের আতঙ্কে এতদিন কাউকেই কোনও কথা জানাচ্ছিল না মেয়ে ও মা। এরপর বাবার এই অত্যাচার আর সহ্য় করেনি মেয়ে। সোজা চলে আসে কাশীপুর থানায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাশিপুর থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা ও নির্যাতিতার মা । তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে স্থানীয় থানার পুলিশ । অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করত তার বাবা । নির্যাতিতা ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের উপর অত্যাচার চালাত তাঁর স্বামী । সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই এদিন পুলিশের দারস্থ হন তাঁরা । এরপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তাদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকিও দিত ।
নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার জন্য জিরানগাছা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় (Police Arrestted Father) । গোটা ঘটনার খবর জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ পদক্ষেপ করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত। এরপর তাকে গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ। বারুইপুর আদালতে পাঠান হয় তাকে।
আরও পড়ুন: Dhupguri: বউ পালাল জানালা দিয়ে! বিয়ের ৩ দিন আগে পাত্রের দাদার সঙ্গে পালাল কনে