ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের বাংলার শ্রমিকের (Bengal Labourer) মৃত্যু। এবার কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ৫ যুবকের। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও চার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন ওমর ফারুক(৩১), সামিউল ইসলাম(১৭), নিজামুদ্দিন সাহাজি (১৯),সারাফাত আলি (২২) ও মিরাজুল ইসলাম (২৩)। এরা সকলেই উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাসিন্দা । ঘটনা জানার পর থেকেই গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া । পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সোমবার নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে যান স্থানীয় জেলাপরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা একেএম ফারহাদ । পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাসও দেন তিনি । সূত্রের খবর, ভিনরাজ্য থেকে মৃতদেহ দেগঙ্গায় ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনের তরফে ৷ এদিকে মৃতদের পরিববারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৷
আরও পড়ুন: শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদনে সাড়া, সাক্ষ্য দিতে ডাকা হল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ মাস আগে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর দক্ষিণ কান্নাড়া জেলায় দিনমজুরের কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই পাঁচ যুবক।তাঁরা একটি কোম্পানির হয়ে মাছের প্যাকেজিংয়ের কাজ করতেন সেখানে । অভিযোগ, কোম্পানির জোরাজুরিতে কর্মস্থলের পাশেই একটি ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমেছিলেন কয়েকজন শ্রমিক । , প্রথম বন্ধু নিচে নামার পরে অনেকটা সময় কেটে যায়। তিনি উঠে না আসায় বাকিরাও একে একে নিচে নেমে যায়। বিষাক্ত গ্যাসে তাঁদেরও মৃত্যু হয়। আহত হন আরও চারজন । আহতদের কোনওরকমে ম্যানহোলের ভিতর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন তাঁরা । তবে, তাঁদের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে।
রবিবার রাতে মর্মান্তিক এই খবর দেগঙ্গায় পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের পরিজন । এতবড় ঘটনা কিভাবে ঘটল, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা । পিছনে কারও গাফিলতি থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাঁদের। সেই কারণে ঘটনাটির তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে অশোকনগরের তিন যুবক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিল নদিয়ার এক যুবকের নামও।
আরও পড়ুন: Birbhum: মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার বিধবার রক্তাক্ত দেহ, ধর্ষণ করে খুন?