একটানা বৃষ্টির জের। ক্রমশ অবস্থার অবনতি উত্তরবঙ্গের। ফুঁসছে একাধিক নদী। ইতিমধ্যেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা। তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি হলুদ সংকেত। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের তরফে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে সতর্কতামূলক ‘কমলা সংকেত’ জারি হয়েছে।
জয়গাঁ এলাকায় তোর্সা নদীতে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নাম হাফিজুর আলি (৪৭)। ওদিকে হাসিমারায় নদীতে তলিয়ে গিয়েছে চারটি বাড়ি। জলঢাকার জলস্তর বেড়েছে। তার আশপাশেও হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। জল বাড়ছে রায়ডাক, ডায়না, সংকোশ নদীতে। মঙ্গলবার রাতে সিকিমের রংপো এলাকায় ধস নামে। পর্যটকদেরও সাবধান করা হয়েছে। অনেক পর্যটন সংস্থাই পর্যটকদের নামিয়ে আনছে।
আরও পড়ুন: Swasthya Sathi card: স্বাস্থ্যসাথী হাতে আর ভেলোরে ছুট নয়, আসছে নয়া বিধি
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গে বর্ষারানি পা রাখতে পারে। আপাতত প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গ ভেজার সম্ভাবনা। আগামী এক-দু’ঘণ্টার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম বর্ধমানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিছুটা কমবে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আমার নামাজ পড়ার অনুমতি নেই, ইফতারে গেলে আপত্তি কোথায়?’, নাম না করে বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর