ডাকঘরে আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করতে গেলে কিনতে হবে গঙ্গাজল। এমনই আজব নিয়ম হুগলি জেলার পোলবা-দাদপুর ব্লকের গোস্বামী-মালিপাড়া গ্রামে। সোমবার এই অভিযোগে ডাকঘরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। বিক্ষোভের পর চুঁচুড়ায় হুগলি জেলার মুখ্য ডাকঘর জানিয়ে দেয়, গঙ্গাজল কেনা মোটেই বাধ্যতামূলক নয়।
ব্যাপারটা ঠিক কী? সুরজিৎ নামে এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে এসেছে গোটা ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, গত শনিবার আধারকার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিংক করানোর জন্য তিনি গিয়েছিলেন পোলবার মালিপাড়া পোস্ট অফিসে। কাজ হয়ে যাওয়ার পর ৫০ টাকা দেন ওই যুবক। অভিযোগ, এরপর পোস্ট অফিসের তরফে আরও ৩০ টাকা দিয়ে গঙ্গাজল কিনতে হবে বলে জানানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই ওই যুবক তাতে রাজি হননি। তিনি প্রথমে প্রশ্ন তোলেন কেন এই গঙ্গাজল কিনতে হবে।
এরপরই পোস্ট অফিসের এক কর্মী সুরজিৎকে সাফ জানান, তিরিশ টাকার বিনিময়ে গঙ্গাজল না কিনলে তাঁর আধার কার্ড আটকে রাখা হবে। এমনকী তেমনটা করেনও ওই পোস্ট অফিস কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই ওই ব্যক্তির সঙ্গে বচসায় জড়ান সুরজিৎ। গঙ্গাজল কিনতে রাজি হলেও তার বিনিময়ে রসিদ দাবি করেন যুবক। কিন্তু তা দিতে রাজি হননি পোস্ট অফিস কর্মী।
আরও পড়ুন: Opening of School: ধাপে ধাপে স্কুল খোলার ভাবনা রাজ্যের, ফেব্রুয়ারিতে শুরু ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’
গোটা ঘটনাটি একটি ভিডিওর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন সুরজিৎ।এ কথা জানতে পেরে সোমবার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ডাকঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। চাপের মুখে পোস্টমাস্টার বলেন, ‘‘ওই যুবক নিজেই আধার কার্ড রেখে দিয়ে গিয়েছেন। দফতর থেকে বিক্রির জন্য গঙ্গাজল পাঠানো হয়েছে। আমরা সকলকে ওই জল নিতে অনুরোধ করছি। কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না। তবে তার জন্য কোনও রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।’’
বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী তৃণমূল নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যা বলছে, মানুষ তাই করছে। আমরা এ ভাবে টাকা নিয়ে গঙ্গাজল বিক্রির প্রতিবাদ করছি। আগামি দিনে আমরা আরও বড় আন্দোলন করব। এমন ভাবে টাকা নেওয়ার অর্থ এক জন খেটে খাওয়া মানুষের থেকে টাকা কেড়ে নেওয়া।’’ বিষয়টি বিস্তারিত শুনে হুগলি মুখ্য ডাকঘরের সহকারী সুপার গীতা বার্লা বলেন, ‘‘ডাকঘরে গঙ্গাজল পাওয়া যাচ্ছে। তবে কোনও গ্রাহক তা কিনতে বাধ্য, এমনটা কোথাও বলা হয়নি।’’
আরও পড়ুন: খোলা জামা, বক্ষলগ্না সুন্দরী যুবতী! ছবি ভাইরাল হতেই স্যোশাল মিডিয়া ছাড়লেন Madan Mitra