জীবিত সদ্যজাতকে মৃত ঘোষণা করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ঘটেছে।
শনিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হন মনলিশা খাতুন গড়বেতার এক গৃহবধূ। দুপুরে তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। যদিও সেই শিশুটি সময়ের অনেক আগেই হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ওজনও কম ছিল। বিকেলে পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই শিশুটি মারা গিয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে রাতে শিশুটিকে মৃত বলে পরিবারের হাতে তুলে দেন চিকিৎসকরা। বাড়ি ফিরে শিশুটিকে কবর দিতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে পরিবারের সদস্যদের। কারণ দেখা যায় দেহে তখনও প্রাণ আছে শিশুটির। শ্বাস–প্রশ্বাস চলছে। তখনই তড়িঘড়ি আবার হাসপাতলে নিয়ে আসা হয়। শিশুটিকে আবার আইসিইউ’তে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: Modi-Mamata: মমতার ধরনার পরই ৬৩৮ কোটি পাচ্ছে রাজ্য! মিড ডে মিলের বকেয়া মেটাচ্ছে কেন্দ্র
হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, পুরো ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষ। হাসপাতালের সুপার সুব্রত দে বলেন, ‘বাচ্চাটার জন্মের পর খুবই কম ওজন ছিল। মাত্র ৪৪০ গ্রাম ওজন ছিল। দুপুরে ওকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সাত ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখে তারপর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর শুনলাম মাটি দিতে গিয়ে শিশুটির পরিবার দেখে দেহে প্রাণ আছে। তারপর ওরা ফের তাকে হাসপাতালে আনে। আমরা ঘটনার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
এই ঘটনায় চিকিৎসকের শাস্তির দাবী তুলে সরব হয়েছেন শিশুটির পরিবার। এই ঘটনায় সরকারি চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান ওই পরিবার।
আরও পড়ুন: Kurmi Samaj: পুরুলিয়ায় উঠল কুড়মিদের অবরোধ, মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে বন্ধ চলছেই