মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে এক ছাত্রীকে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন এই ঘটনা হয়েছে। ছাত্রীকে কোপ মারার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক। দু’জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজ্ঞান বিভাগের বিল্ডিংয়ে বৃহস্পতিবার ক্লাস চলছিল। তখনই সেখানকার করিডোরে আচমকা ওই ছাত্রীকে অভিযুক্ত ছাত্র কোপ মারেন বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ছাত্রী গণিত বিভাগের। অভিযুক্ত ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে পড়াশোনা করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরে চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল টিমের সদস্য সুমিতা সরকার। তিনি প্রাথমিক শুশ্রূষার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে দুজনের। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাজীব পুততুণ্ড জানান, “খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখলাম রক্তাক্ত কাণ্ড ঘটেছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে কীভাবে ক্লাসে ঢুকে ছাত্রীর উপর হামলা চালানো হল, সেই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাজীব বলেন, ‘‘আক্রান্ত ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ছাত্র, দু’জনেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখন কী ভাবে ওঁদের জীবন বাঁচানো যায়, সেই বিষয়টাই দেখছি। উপাচার্যও এই বিষয়টি দেখছেন। হঠাৎ করে এই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। আগে দু’জনের জীবনসংশয় কাটুক। তার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’