গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষিজাত পণ্যের বাণিজ্য নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবার প্রত্যেকটি জেলায় হাট–বাজার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। কৃষিজাত পণ্যের বাণিজ্যে সাফল্য তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্যের ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটির শিল্প দফতর। ইতিমধ্যেই গ্রামীণ হাট–বাজারের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি কোন কোন এলাকায় গ্রামীণ হাটবাজার তৈরি করতে হবে, তারও তালিকা পাঠানোর নির্দেশ। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে এলাকার নাম, রেলস্টেশন বা কোন গুরুত্বপূর্ণ বড় রাস্তা সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ বাজার হাট থেকে কতটা দূর তা জানাতে হবে। আর যদি কোন গ্রামীন হাট থেকে থাকে তার কোন পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে নাকি তাও জানাতে হবে। দ্রুত এই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ জেলাগুলিকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে গ্রামের হাট বাজার গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জোর? জল্পনা তা নিয়ে।
ইতিমধ্যেই প্রতিটি শিল্প কেন্দ্র থেকে তাদের জেলার হাট-বাজার নিয়ে একটা বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছে নবান্নে। তার ভিত্তিতেই রাজ্যের ক্ষুদ্র,মাঝারি ও কুঠির শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে জেলার হাট বাজারের পরিকাঠামো বিকাশে নির্দিষ্ট প্রস্তাব চেয়েছেন। তাঁর মতে রাজ্য সরকার গ্রামীণ অর্থনীতি, বিশেষ করে কৃষিজাত বাণিজ্য বিকাশে এই নয়া কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ঠিক কী লেখা আছে চিঠিতে? চিঠিতে শিল্প দফতরের সচিব লিখেছেন, যে সব গ্রামীণ হাট–বাজারের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে তার তালিকা পাঠাতে হবে। সেখানে উল্লেখ করতে হবে এলাকার নাম, রেল স্টেশন এবং জাতীয় বা রাজ্য সড়ক বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ বড় রাস্তার নাম। আর তা থেকে বাজার বা হাটের দূরত্ব। কত স্টল রয়েছে, কত মানুষ পেশাগতভাবে যুক্ত, কী কী ধরনের সুযোগ সুবিধা করতে হবে সব উল্লেখ করতে হবে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: Accident: সজোরে লরির ধাক্কা, ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে কৃষ্ণ কল্যাণীর গাড়ি