হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রজ গোয়ালার বাবা তথা তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত সমরেন্দু গোয়ালাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই পলাতক ছিলেন সমরেন্দু। তবে আজকে গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়েন অভিযুক্ত যুবকের বাবা। জানা গিয়েছে, আজকেই আদালতে পেশ করা হবে সমরেন্দুকে। তার আগে অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই-এর ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে। এর আগে হাঁসখালি কাণ্ডের তদন্তে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
মঙ্গলবার সকালে সমরেন্দু ওরফে সমরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র আধিকারিকরা। তলব করা হয় ব্রজগোপালের মাকেও। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না সমরেন্দুর। অবশেষে তাঁর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকে নদিয়ার বগুলায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন সমরেন্দু। খবর পেয়ে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে তলব করেন। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের ক্যাম্পে সমরেন্দুকে ব্রজগোপালের সঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: সুখবর! সরকারি কর্মচারীদের বোনাস ঘোষণা নবান্নের
তদন্তকারীরা বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন। প্রথমত, জন্মদিনের পার্টি সমরেন্দুর বাড়িতেই হয়েছিল কি না। দ্বিতীয়ত, পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতিতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, না কি ব্রজগোপাল নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তৃতীয়ত, ঘটনার সময় সমরেন্দু এবং তাঁর স্ত্রী কোথায় ছিলেন। চতুর্থত, মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ভোররাতে তার বাড়িতে কেন গিয়েছিল। পঞ্চমত, শ্মশানে নির্যাতিতার দেহ দাহ করার সময় কারা উপস্থিত ছিলেন। ষষ্ঠত, দেহ দাহ করার সময় হাঁসখালি থানার কোনও আধিকারিকের ভূমিকা ছিল কি না।
অভিযোগ, গত ৪ এপ্রিল হাঁসখালিতে নবম শ্রেণির এক নাবালিকা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছেলের আয়োজিত জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। রাতের দিকে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেন এক মহিলা। সেইসময় অসুস্থ ছিলেন নাবালিকা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে পরদিন হয় তাঁর। কিন্তু অভিযুক্তদের চাপে ময়নাতদন্ত বা ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রিবাস! তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ পরকীয়ায় মত্ত যুগল