দুদিন আংশিক মেঘলা আকাশ থাকায় গরমের প্রকোপ তুলনামূলক কম ছিল। কিন্তু বুধবার থেকেই আবার খেলা দেখাতে শুরু করেছে আবহাওয়া। আগামী বেশ কয়েকদিন একইরকম গরমের পরিস্থিতি থাকতে চলেছে বাংলায়। ব্যাপকভাবে তাপপ্রবাহ হবে, এমন সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী তিন দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পরের দু’দিনও একই রকম গরম থাকবে। আগামী তিন দিন রাজ্যের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। গোটা রাজ্যের বেশ কিছু জেলাতে রয়েছে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে বঙ্গবাসীর প্রশ্ন এখন একটাই, বৃষ্টি কবে হবে? সেই নিয়ে যদিও কোনও আশার আলো দেখায়নি হাওয়া অফিস।
শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের ২৩ টি জেলার মধ্যে ১৮ টিতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে দুই মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাকি জেলাগুলিতেও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে দুই মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া। সেখানে জারি লাল সতর্কতা। দুই ২৪ পরগনা,পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, হুগলিতেও তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে। সেখানে জারি কমলা সতর্কতা। দক্ষিণের বাকি জেলায় চলবে তাপপ্রবাহ। শনিবার দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, হুগলিতে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বাকি জেলায় হতে পারে তাপপ্রবাহ।
কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি। ৪৪ বছর আগে ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে শহর কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা এবার ভেঙে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।