Hooghly: a woman tried to kill herself after watching daughters death in hooghly

Hooghly: গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে মেয়ে, দেহের সামনে দাঁড়িয়ে হাতের শিরা কাটলেন মা!

মেয়ে আত্মঘাতী। সেই খবর জেনেই হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন মা। ঘটনায় আলোড়ন পড়ল কোন্নগরে। মৃতের নাম বিপাশা মুখার্জি (৩৫)। বিপাশার মা কৃষ্ণা মুখার্জি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কোন্নগর ক্রাইপার রোড সংলগ্ন এলাকায় অরণি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা তাঁরা। প্রতিবেশীরা জানান, বছর সাতেক আগে ফ্ল্যাট কিনে বসবাস শুরু করেন মুখার্জি পরিবার। বুদ্ধদেব মুখার্জি ও কৃষ্ণা মুখার্জির একমাত্র মেয়ে ছিলেন বিপাশা। কৃষ্ণা মুখার্জি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। মেয়ে বিপাশা ছিলেন অবিবাহিত। তাদের সংসার চলে পেনশনের টাকায়। বুদ্ধদেববাবু দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বিপাশাও।

শুক্রবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিপাশা। মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে আঁতকে ওঠেন মা। কৃষ্ণাদেবীও হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা মা, মেয়েকে দেখতে পান। কৃষ্ণাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তবে বিপাশার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

আবাসনের বাসিন্দা দীপঙ্কর মুখার্জি বলেন, “বাবা মা আর মেয়ে থাকতেন ফ্ল্যাটে। নিজেদের মতোই থাকতেন। কারও সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না। দু’দিন ধরে খুবই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। তাকে নিয়ে ছোটাছুটিও চলছিল। এদিন সকালে হঠাৎ শুনতে পাই বিপাশা আত্মহত্যা করেছে। সেই দুঃখে কাকিমাও হাতের শিরা কেটে ফেলেন। আবাসনে একজন চিকিৎসক থাকেন। তিনিই প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। তারপর কাকিমাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশকে আমরাই খবর দিই। তারপর পুলিশ এসে যা করার করেছে।”