বাগনান (Bagnan) কাণ্ডে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। মৃতার স্বামীর বয়ানে অসংগতি মিলেছে বলে দাবি পুলিশের (Howrah Shootout)। সত্যিই কি সাতসকালে ছিনতাইবাজের কবলে পড়েছিলেন রিয়া কুমারী ওরফে ইশা আলিয়া? নাকি নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র? উঠছে প্রশ্ন।
বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ হাওড়ার বাগনানের রাজাপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর মহিষরেখা সেতুর কাছে গুলি করে খুন করা হয় রিয়াকে। নায়িকার স্বামীর প্রকাশকুমার ঝাঁ’র দাবি, তাঁরা রাঁচী থেকে গাড়ি চড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁদের আড়াই বছরের শিশু কন্যা। কোনও চালক ছিলেন না, গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রকাশই। তাঁর বক্তব্য, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি গাড়ি থামিয়েছিলেন মহিষরেখা সেতুর কাছে।। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁর গাড়িতে হামলা করে ছিনতাইবাজেরা। রিনা কুমারির থেকে জিনিস হাতানোর চেষ্টা করে। অভিযোগ, বাধা পেয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বধূকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: Asansol: শুভেন্দুর সভায় কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ৩ জনের, গুরুতর আহত ৫
প্রকাশের এই বয়ান খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিশেষত তাঁদের ভাবাচ্ছে, সেতুর কাছে গাড়ি দাঁড় করানো এবং ঠিক সেই সময়েই দুষ্কৃতীদের প্রকাশকে ঘিরে ফেলা— এই দুই ঘটনার সমাপতন। এই দুই ঘটনা কাকতালীয়, না কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, গাড়িতে মেলেনি রক্তের দাগ। এমনকী ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোলও উদ্ধার হয়নি। কিন্তু গাড়িতে গুলি করা হলে রক্তের দাগ মেলাই স্বাভাবিক। প্রত্যক্ষদর্শীদের তরফে জানানো হয়েছে, গাড়ির কাচ বন্ধ ছিল। মৃতার স্বামীর দাবি, বাইরে থেকে ছিনতাইকারীরা গুলি চালায়। তাহলে কীভাবে গাড়ির কাঁচ অক্ষত অবস্থায় থাকল, সেই প্রশ্ন থাকছেই। এছাড়াও একাধিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে মৃতার স্বামীর ভূমিকা নিয়ে। দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল। গোটা ঘটনার নেপথ্যে দাম্পত্য কলহ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Vande Bharat Express: চার দিন বাদে যাত্রা শুরু, সোম সকালে ট্রায়াল রান বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের