রাজ্য বিজেপিতে মতুয়া সম্প্রদায়কে বঞ্চনা করার বিষয়টি সর্বভারতীয় নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরতে সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। তার আগে ঠাকুরনগর গিয়ে তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর চার নেতা সায়ন্তন বসু, রীতেশ তেওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদার ও সমীরণ সাহা। নিজের বাড়িতে সায়ন্তন-রীতেশদের সঙ্গে শান্তনুর প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে ঠিক কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই।
তবে সোমবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh Santanu Thakur)।
সোমবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “আমারও মাঝেমধ্যে মনে হয় গ্রুপ লেফট করি। তাহলে কী হবে? সংবাদমাধ্যমের নজরে আসব। এর চেয়ে বেশি কিছু হবে না। কারণ, গ্রুপ লেফট (Dilip Ghosh Santanu Thakur) করে সমস্যা সমাধান বা পদপ্রাপ্তি কোনওটাই হয় না। উল্টে অসম্মানিত হতে হয়। দলের অন্দরে কোনও সমস্যা তৈরি হলে সেটা ভেতরেই মিটিয়ে নেওয়া ভাল। সেই সুযোগও রয়েছে।” নেতাদের দল বদলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কিছু লোক থাকেন ট্রাভেলর.. রাজনীতিবিদ নন তারা দল বদল করেন।”
শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে বিদ্রোহী বিধায়ক ও নেতাদের বৈঠক প্রসঙ্গে (Dilip Ghosh Santanu Thakur) প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষের নির্ঘোষ, “যে কেউ যেখানে যার বাড়িতে খুশি মিটিং করতে পারেন।” কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের(Dilip Ghosh) স্পষ্ট মন্তব্য, “কে কার বাড়িতে বৈঠক করবে তা নিয়ে কী বলার আছে! শান্তনু এখন খবরের নজরে আসছেন। তাই তাঁর বাড়িতে বৈঠক হলেই খবর হচ্ছে। তিনি তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে যে কেউ দেখা করতে পারে। সৌজন্যের রাজনীতিতে তো কোনও খারাপ কিছু নেই। এ কথা তো আমি আগেও বলেছি।”