হাসপাতাল থেকে মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেন ছেলে। সঙ্গী হলেন বাবাও। বৃহস্পতিবার এই ছবি দেখা গেল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে (Jalpaiguri)। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা লাগামছাড়া ভাড়া চেয়েছিলেন। তা দিতে না পেরে মায়ের দেহ কাঁধে তুলে রওনা দেন ওই যুবক। যদিও পরে তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ক্রানি এলাকায়। বুধবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Jalpaiguri Super Specialty Hospital) ভর্তি হয়েছিলেন জেলার ক্রানি ব্লকের বাসিন্দা লক্ষীরানি দেওয়ান। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য তিন হাজার টাকা চায় অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance)। কিন্তু আসল ভাড়া নাকি ১০০০ টাকা। টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না তাঁদের। তাই কাঁধে করেই মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানযাত্রা করে পরিবার।পথেই এই দৃশ্য চোখে পড়ে গ্রীন জলপাইগুড়ি নামক একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্গুর দাসের। সঙ্গে সঙ্গে তাদের শববাহী গাড়ি ডেকে সেই গাড়িতে মৃতদেহ শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়৷
আরও পড়ুন: Narendra Modi: মাতৃবিয়োগের কারণে বঙ্গ সফর বাতিল, ভার্চুয়ালি করবেন সব উদ্বোধন
মৃতার ছেলে রামপ্রসাদের অভিযোগ, ‘‘মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ৩ হাজার টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু আমাদের পক্ষে সেই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। বার বার ভাড়া কম নেওয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা ভাড়া কমাতে রাজি হননি। তাই বাবা এবং আমি দু’জনে মিলে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিই।’
এই কাণ্ড নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, ‘‘এটা অমানবিক ঘটনা। আমি মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই ঘটনা ঘটার কথা নয়। বিনামূল্যে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু রয়েছে। মৃতের পরিবার হয়তো কোনও ভাবে সেটা বুঝে উঠতে পারেননি। তাঁরা রোগী সহায়তা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই সমস্যার সামধান হয়ে যেত। তবে প্রশাসনিক ভাবে তা প্রচারে যাতে জোর দেওয়া হয় সে দিকটাও দেখছি আমরা।’’
আরও পড়ুন: Mid Day Meal : বাংলার মিড ডে মিলের মেনুতে এবার মাংস, পাতে পড়বে মরশুমি ফলও