চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জয়নগর। অপরাধীর আগামী ৩ মাসের মধ্যে ফাঁসি চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ৬২ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। আর তার পরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করলেন।
জয়নগর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচার চেয়েছিলেন। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় মুস্তাকিন সর্দারকে। আজ শুক্রবার তাকে ফাঁসির সাজা শোনানো হল। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, অক্টোবর মাসের চার তারিখে জয়নগরে এক নাবালিকা মেয়েকে নৃশংস ধর্ষণ ও খুন করা হয়। এই নৃশংস ঘটনার মাত্র ৬২ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে আজ বারুইপুরের পকসো আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে এমন একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, রাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
The accused in the case involving the brutal rape and murder of a minor girl in Joynagar on 4.10.24 has been sentenced to death today by the POCSO court at Baruipur just within 62 days of the ghastly incident. Conviction and capital punishment in such a case in just over two…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 6, 2024
গত ৪ অক্টোবর জয়নগরের মহিষমারি এলাকার জলাভূমি থেকে ন’বছরের একটি শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তেতে ওঠে এলাকা। ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জয়নগর থানা এলাকার মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে স্থানীয় ফাঁড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। এমনকী ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে ঝাঁটাপেটাও করেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
এরপর থেকেই মামলায় পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ৫ অক্টোবর নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে। ৭ অক্টোবর ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়। এর ২৫ দিনের মাথায়, গত ৩০ অক্টোবর পেশ হয় চার্জশিট। আর বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আর আজ ফাঁসির সাজা ঘোষণা হল।
অন্য দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া এখনও চলছে। ওই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। গত মাসে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। তা সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।