উদ্বোধনের আগেই বিতর্ক কল্যাণী এইমস (Kalyani AIIMS) ঘিরে। অভিযোগ, পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এইমসের ভবনটি নির্মাণ হয়েছে। রবিবার যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi)। তার আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা পরিবেশবিদ কল্যাণ রুদ্র অভিযোগ তুলেছেন, কল্যাণী (Kalyani) এইমসের নতুন ভবন পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র পায়নি এবং সেই ছাড়পত্র ছাড়াই এর উদ্বোধন হতে চলেছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কল্যাণী এইমস আগামিদিনে মানুষকে যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে, তার বৈধতা থাকবে কি?
রবিবার গুজরাটের রাজকোট থেকে এইমস রাজকোট, এইমস ভাতিন্ডা, এইমস মঙ্গলগিরি, এইমস রায়বেরেলি এবং এইমস কল্যাণীর উদ্বোধন করবেন ভার্চুয়ালি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এর মধ্যেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিপত্তি। এই বিষয় নিয়ে এইমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘এটা রাজ্য সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে আদালতে একটি মামলা দায়ের আছে। সেটি আদালতে বিচারাধীন। আদালত যা রায় দেবেন, সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ হবে। তবে এর সঙ্গে উদ্বোধনের কোনও বিষয় নেই। নির্দিষ্ট সূচি মেনেই সেই প্রোগ্রাম হবে।’
পর্ষদের দাবি, ২০ হাজার বর্গমিটারের বেশি যদি কোনও প্রোজেক্ট এরিয়া হয়, তাহলে তাতে পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র লাগে। কল্যাণী এইমস তার ভবন নির্মাণের জন্য এই ছাড়পত্রের আবেদন করেছিল ‘ভায়োলেশন ক্যাটাগরি’-র আওতায়। নির্মাণকাজ শুরুর পর পরিবেশগত ছাড়পত্রের আবেদন করা হলে তাকে বলা হয় ‘ভায়োলেশন ক্যাটেগরি’তে আবেদন। নিয়ম হল, নির্মাণকাজ শুরুর আগেই ছাড়পত্রের আবেদন করা। পর্ষদের দাবি, তা করেনি এমস কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই পরে ‘ভায়োলেশন ক্যাটেগরি’-তে আবেদন।
এর পর এইমসকে ১৫ কোটি ১০ লক্ষ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ মকুবের দাবি জানান এইমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর পর দু’টি নির্দেশ দেয়। যে নির্দেশে বলা হয়েছে, জরিমানা নিয়ে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। কল্যাণ রুদ্রর দাবি, শীর্ষ আদালতের এই সংক্রান্ত জোড়া নির্দেশের জেরেই রাজ্যে অন্তত ২৫টি প্রকল্পে কোনও পরিবেশগত (Environment) ছাড়পত্র দিতে পারছে না দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তার মধ্যে রয়েছে কল্যাণী এইমসও।
যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ এই ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে। পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া না হলে ‘কনসেন্ট টু অপারেট’ দেওয়াও সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে।