কল্যাণী বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কারখানাটি। উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রা। ধ্বংসস্তূপের তলায় আর কেউ আটকে রয়েছেন কি না, দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওর্য়াডের রথতলা এলাকায় একটি বাজি কারখানায় আগুন লাগে। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তিন মহিলা-সহ এক পুরুষের। আহত আরও এক মহিলার। তাঁকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় গোটা বাজি কারখানা উড়ে গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে কল্যাণী থানার পুলিশ এবং দমকলবাহিনী। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আতশবাজি তৈরির সময় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। তার ফলেই বিস্ফোরণ। খবর পেয়ে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণের ফলে কারখানার দেওয়াল ভেঙে পড়ে। তাতে কেউ আটকে রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ঘটনাস্থল।
রাজ্যে গত কয়েক বছরে একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছিল। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ এবং উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানেও অন্তত সাত জনের প্রাণ গিয়েছিল। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন কল্যাণী।