এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের সফল সরকারি প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যের বহু মহিলা এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন। এবার এই প্রকল্প আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। দুয়ারে সরকার শিবিরের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। এবার সারা বছরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে করা যাবে আবেদন। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২০২১ নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। সেইমতো ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্যে এই প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা ও অন্যান্য মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। শুরুতে এই ভাতা পেতেন ২৫-৬০ বছর বয়সিরা। ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে তাঁরা পেতেন বার্ধক্য ভাতা। গত রাজ্য বাজেটে ঘোষণা করা হয়, এবার ষাটোর্ধ্ব মহিলারা বার্ধক্য ভাতা-সহ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন।
এতদিন এই প্রকল্পে আবেদন করা যত রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে। দুয়ারে সরকার শিবির চলাকালীন কোনও মহিলার বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে তিনি আবেদন করতে পারতেন। কোনওভাবে দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন করতে না পারলে আবার পরের দুয়ারে সরকারের জন্য অপেক্ষা করতে হত। সেই অপেক্ষা আর করতে হবে না। এ বার থেকে বয়স ২৫ পূর্ণ হলেই সারা বছর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করা যাবে। গ্রামাঞ্চলের মহিলারা বিডিও অফিসে, শহরাঞ্চলের মহিলারা এসডিও অফিসে এবং কলকাতা পুরসভা এলাকায় পুরসভা ভবনে গিয়ে আবেদন করা যাবে। আবেদনপত্রে কোনও ত্রুটি না থাকলে, তখন থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা এক সংবাদপত্রকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে আরও সুবিধা দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সারা বছরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনের করা যাবে।’ এখন রাজ্যের ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৩ জন মহিলা প্রত্যেক মাসে এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। আর নতুন করে এই সুবিধা পেতে চলেছেন ৯ লক্ষ ৫ হাজার ২৬৮ মহিলা। সুতরাং এই প্রকল্পে মোট উপভোক্তার সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটি ৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৩০১ জন। এই খাতে প্রত্যেক মাসে ১১৩৯ কোটি টাকা খরচ হয়।