২০২৪-এ দিল্লিতে সরকার গড়বে ইন্ডিয়া জোট। সেই সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চম দফার ভোটের আগেই দলের অবস্থান জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন তিনি। মমতা বলেন, “ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব রকম সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেব। যাতে বাংলায় আমার মা-বোনেদের কোনও দিন অসুবিধা না-হয়, ১০০ দিনের কাজে কোনও দিন অসুবিধা না-হয়।”
বুধবার মমতা বলেন, “চার দফায় যে ভোটগ্রহণ হয়েছে, তাতে বিজেপি হারবে। বাকি তিন দফাতেও জেতার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। অনেক চিৎকার করবে, ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলবে, জুমলাবাজি করবে, কিন্তু জিততে পারবে না। বিজেপি অহঙ্কার করে বলেছিল, ইস্ বার চারশো পার। মানুষ বলছে, নেহি হোগা দোশো পার। এই বার হবে পগারপার।” সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার কথা বলতে গিয়ে বুধবারও বাংলার বাম-কংগ্রেসকে বেঁধেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী বলেন, “বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস আমাদের সঙ্গে নেই। ওই দুটো বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।” এর পরেই ভোট পরবর্তী দিল্লিতে কী সমীকরণ হবে, সে ব্যাপারে তৃণমূলের অবস্থান জানান নেত্রী।
ইন্ডিয়া জোটের নামকরণ তিনিই করেছেন। বস্তুত গোটা দেশে বিরোধী নেতাদের এক ছাতার তলায় আনার ক্ষেত্রে মমতাই অগ্রণী ভূমিকা নেন। কিন্তু রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি তৃণমূলের। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সিপিএম প্রীতিই এর জন্য দায়ী। আবার কংগ্রেস বলে, তৃণমূল তাঁদের নামমাত্র দুটি আসন ছাড়তে চেয়েছিল। তাই আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত। কারণ যাই হোক, রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি তৃণমূলের।
যদিও পরবর্তী কালে মমতা বারবার বলেছেন, জোটের ব্যাপারটা তিনি ভোটের পর দেখে নেবেন। অর্থাৎ ভোট (Lok Sabha 2024) পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে যে তৃণমূল যোগ দিতে পারে, সেটা একাধিকবার স্পষ্ট করেছেন তৃণমূল নেত্রী।