বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতার আগেই ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি জানিয়ে দিয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবার আসনে লড়বেন তিনি নিজে। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন। সংখ্যালঘু ভোটে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তিনদফার জোট বৈঠকের পর যে আটটি আসনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসএফ, আপাতত তাতে নাম নেই ডায়মন্ডহারবারের। বামেদের সঙ্গে আলোচনার পর ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রটি সিপিএমের জন্যই ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের রাজ্য নেতৃত্ব।
বামেদের সঙ্গে আলোচনায় রাজ্যে আইএসএফ যে আটটি আসনে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় নেই ডায়মন্ড হারবার। এদিন দলের বৈঠকের পর আইএসএফের কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক জানিয়েছেন, প্রথমে ২০টি আসনে লড়াই করতে চাইলেও দফায় দফায় আলোচনার শেষে আটটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, বসিরহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ও যাদবপুর আসনে প্রার্থী দেবে আইএসএফ। তবে জোট রাজনীতির স্বার্থে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও হুগলির শ্রীরামপুর ও হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া আসনে প্রার্থী দেবে আইএসএফ। উত্তরবঙ্গের কোনও আসনে প্রার্থী না দিলেও মুর্শিদাবাদের দু’টি আসন থেকে লড়তে চায় আইএসএফ। জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ আসন থেকে লড়াই করতে চায় নওশাদ সিদ্দিকির দল।
এদিকে দলের সভাপতি সামসুর রহমান যাদবপুরে লড়াইয়ের কথা জানিয়েও এদিন বলেন, “যাদবপুর কেন্দ্রে যদি সিপিএম এর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাঁড়ান তাহলে আইএসএফ সরে যাবে। পরিবর্তে বালুরঘাট, জয়নগর অথবা ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র চাই আমাদের।” কথা ছিল, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বামফ্রন্টের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হবে। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর সেই সাংবাদিক বৈঠকের আগেই নিজেদের পছন্দের আসনের নাম ও বিমানদের দেওয়া শর্ত জানিয়ে দেয় আইএসএফ। এর পরে বামফ্রন্টের সাংবাদিক বৈঠক পিছিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে বামফ্রন্টের উপরে চাপ তৈরি করার জন্যই এই পথ নেয় নওশাদের দল।