নরেন্দ্র মোদী ফের একবার জিতলে দেশে আর ভোট হতে দেবে না, বালুরঘাটের দলীয় প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে প্রচার সভা করতে এসে জনতার সামনে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিন বালুরঘাটে দলীয় প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর নির্বাচনী মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “বিরোধী দেখলেই জেলে ভরছে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় জায়গা এখন জেল। ফের ক্ষমতায় এলে নির্বাচন বলে আর কিছু থাকবে না। বিরোধীদের সবাইকে জেলে ভরে বিজেপি ভোট ব্য়বস্থাটাকেই তুলে দেবে। বাকিদের এনআরসি করে দেশ থেকে তাড়াবে।”
বৃহস্পতিবার সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জানেন ইউনিফর্ম সিভিল কোড কী? আপনার ধর্ম নিষিদ্ধ, আপনার আচার নিষিদ্ধ, আপনার আচরণ নিষিদ্ধ। মানুষের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। তপশিলি, আদিবাসী, সংখ্যালঘু, সাধারণ মানুষের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। একটা দল, একটা নেতা, দেশে আর গণতন্ত্র থাকবে না।’ প্রসঙ্গত, বুধবারই নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল। সেখানেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে, ধোঁয়াশাযুক্ত সিএএ বিলুপ্ত করা হবে, এনআরসি বন্ধ করা হবে এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোডও ভারতজুড়ে প্রয়োগ করা হবে না।
দুর্নীতির অভিযোগে বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার জন্য দিল্লিতে দরবারের কথা গত বছর প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত। তাঁর নাম না করে এদিন মমতা মনে করিয়েছেন, “এখানকার সাংসদ, বিজেপির প্রার্থী নিজেই তো দিল্লিতে গিয়ে বারে বারে বলেছেন, বাংলার টাকা বন্ধ করে দাও। তারপরও ওকে ভোট দেবেন?”
সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপিকে জগাই, মাধাই, গদাই বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, “সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। পঞ্চায়েতে জগাই মাধাই গধাই একসঙ্গে কাজ করে। ওদের একটি ভোটও নয়।”
বিজেপিকে ঠেকাতে সর্বভারতীয়স্তরে ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছিল। এদিন সেই ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “এবারে আর বিজেপি নয়, ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বেই সরকার হবে, আর সেই সরকারকে বাংলা থেকে নেতৃত্ব দেব আমরা, বিজেপিকে ঠেকাতে পারে কেবল তৃণমূল।”